কৃষক আন্দোলন বন্ধ করা যাবে না, আন্দোলন চলবেঃ তৃণমূল
আজ কৃষকদের এক অনুষ্ঠানে পশ্চিমবঙ্গ সরকার তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) আক্রমণ করেন প্রধানমন্ত্রী (Narendra Modi)। ওনার বক্তব্যের বিরোধিতা করে ক্ষোভ উগরে দেন সৌগত রায় (Sougata Roy)।
তিনি বলেন, মোদীর কথায় চিঁড়ে ভিজবে না। কিষাণ সম্মান নিধি নিয়ে এক কথা বারবার বলে মিথ্যাচার করছেন মোদী। উনি মূল বিষয় থেকে সরে যাচ্ছেন। কৃষকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে তৃণমূল আর সিপিএমের সমালোচনা করছেন, এটা কি কোন প্রধানমন্ত্রীকে শোভা পায়?
তিনি বলেন, আলু পেঁয়াজকে অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের আওতায় থেকে সরিয়ে দিয়েছে। কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছি আমরা। দেশের ১১টি রাজনৈতিক দল এই নতুন তিন কৃষি বিলের বিরুদ্ধে চিঠি দিয়েছে। রাজ্যসভায় ওরা জোর করে বিল পাস করিয়ে দিয়েছে। এই ৩টি আইন অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে। মহারাষ্ট্রে কৃষকরা আত্মহত্যা করছে। চালাকি করে কৃষক আন্দোলন বন্ধ করা যাবে না। এই আন্দোলন চলবে। ওদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে প্রথম সারিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তাই মমতাকে আঘাত করার চেষ্টা হচ্ছে।
তিনি রাজ্য সরকারের কৃষি সহায়তা প্রসঙ্গে বলেন, বাংলার সরকার কৃষকদের পক্ষে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সিঙ্গুরের কৃষকদের জমির অধিকার ফিরিয়ে দিয়েছে। কৃষকবন্ধু প্রকল্প ৪৭ লক্ষ কৃষক উপকৃত। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আমলে কৃষি আন্দোলন হয়নি। বাংলায় কৃষিক্ষেত্রে বাজেট ৫ গুণ বেড়েছে। রাজ্যে কৃষকদের আয় অন্য রাজ্যের তুলনায় অনেক বেড়েছে। কিষাণ সম্মান নিধির নাম নিয়ে ৬০০০ টাকা দিয়ে প্রচার চাইছে, ভোট কিনতে চাইছে।
তিনি আরও বলেন, মোদির দাবি সর্বৈব মিথ্যে, অন্তঃসার শূন্য। কৃষিপণ্যের ব্যবসা তুলে দিয়েছেন মোদী। অন্য আইনের মাধ্যমে চুক্তি চাষ চালু করতে চায় মোদী। রাজ্যপালের মস্তিষ্কের স্থিরতা নেই। রাজ্য বলেছে কেন্দ্রকে টাকা পাঠাতে, রাজ্যের মাধ্যমে কৃষকদের দেওয়া হবে, কেন্দ্র শুনছে না। টাকা দিচ্ছে রাজ্য আর সুবিধা চাইছে কেন্দ্র। রাজ্যকে এড়িয়ে নিজেরা নাম কিনতে চায়।
এই নতুন কৃষিবিল নিয়ে তিনি বলেন, বাজারে ফসলের দাম বাড়লে ক্ষতি হবে কৃষকদের। ফসল ফলানোর আগেই দাম ঠিক করে ফেলা হবে। তারপর পুঁজিপতিরা সেই ফসল আগের দামে কিনে নিয়ে যাবে।
রাজ্যে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কিছুদিন ধরে বিভিন্ন কাজ করে চলেছে, যা খুবই উদ্বেগজনক। সেই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ওরা রবীন্দ্রনাথ পড়েনি। তাই ওনাকে নিয়ে ব্যবসা করার কথা ওদের মাথায় আসতে পারে। রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে ব্যবসা শব্দটা জুড়ে ওরা অন্যায় করছে।
তিনি সাম্প্রতিক নিযুক্ত হওয়া বঙ্গ বিজেপির পর্যবেক্ষক অমিত মালব্যর বিষয়ে বলেন, অমিত মালব্যকে কোনোদিন চিনতাম না, হঠাৎ করে বিদেশ থেকে এসে বিজেপি নেতা বলে বিবৃতি দিচ্ছে। অর্জুন সিং এর বিরুদ্ধে কটা মার্ডার কেস আছে তার একটা লিস্ট পেলাম। এটা আমি রাজ্যপালকে পাঠাবো।