বাড়ি বসেই মিলবে গঙ্গাসাগরের ই-স্নান সামগ্রী, শুরু হল বুকিং
সিসিটিভি (CCTV) এবং ড্রোনের(Drone) মাধ্যমে জোরদার নজরদারি চালানো হবে গঙ্গাসাগরে(Gangasagar)। গতবারের চেয়ে এবার এই দু’টির সংখ্যাই অনেকটা বাড়ানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলাশাসক পি উলগানাথান। বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠক করে তিনি বলেন, গতবার ৭৫০টি ক্যামেরা এবং ১০টি ড্রোনের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। এবার সেই সংখ্যাটি যথাক্রমে ১০০০ এবং ২৫। মেলার কোনও অংশ যাতে বাদ না যায়, সে কারণেই এই সিদ্ধান্ত। সব মিলিয়ে এবার আরও বেশি করে তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর হচ্ছে গঙ্গাসাগর। যেমন এবার মেলায় আগত পর্যটক এবং পুণ্যার্থীদের সুবিধার্থে ‘অতিথি’ অ্যাপ(Atithi App) তৈরি করা হয়েছে। এর মাধ্যমে ট্রেন, বাস, ভেসেল ছাড়ার সময়, সাগরে কোথায় যাওয়া যাবে, স্নানের সময়, হাসপাতালের তথ্য ইত্যাদি জানা যাবে। এছাড়া যান চলাচলে নজরদারি থেকে সরাসরি পুজো দেখানো, সবটাই এবার প্রযুক্তির সাহায্যে করা হচ্ছে। যেমন পিলগ্রিম ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের মাধ্যমে প্রশাসনিক কর্তারা কন্ট্রোল রুম থেকে দেখতে পারবেন, একটি বাস বা ভেসেল কোন জায়গায় আছে, কতজন যাত্রী আসছেন, জেটি থেকে ভেসেলের দূরত্ব কতটা ইত্যাদি। এতে ভিড় সামলানোর কাজ খুব ভালোভাবে করা যাবে বলেই জানিয়েছেন জেলাশাসক।
এদিকে, করোনা (COVID19) আবহে বাড়ি বসেই গঙ্গাসাগরের জল, কপিলমুনি আশ্রমের পুজোর প্রসাদ ইত্যাদি পাওয়ার জন্য ই-স্নান সামগ্রীর বুকিং শুরু হয়ে গেল। ১৫০ টাকার বিনিময়ে যে কেউ এই সামগ্রী অর্ডার করতে পারবেন। গঙ্গাসাগরের ওয়েবসাইটে গিয়ে করতে হবে বুকিং। তার তিনদিনের মধ্যেই কুরিয়ারের মাধ্যমে এইসব সামগ্রী পৌঁছে যাবে বলে দাবি প্রশাসনের। গতবার জানুয়ারি মাসে এর বুকিং শুরু হয়েছিল। কিন্তু এবার এর চাহিদা এখন থেকেই বাড়ছে। তাই অনলাইন বুকিং খুলে দেওয়া হয়েছে।
সুরক্ষা নিয়ে এবার আরও সতর্ক প্রশাসন। গতবার বেশ কিছু জায়গা সিসিটিভি ক্যামেরার আওতায় ছিল না। কিন্তু এবার আর কোনও ফাঁকফোকর রাখা হচ্ছে না। ড্রোন এবং ক্যামেরার মাধ্যমে চলবে নজরদারি। সাগর সঞ্চার নামে একটি পরিষেবা চালু করা হচ্ছে আসন্ন মেলায়। এতে ওয়াকি টকি-র মাধ্যমে ৪০-৫০ কিলোমিটার দূর পর্যন্ত যোগাযোগ রাখা যাবে।