৩৪০ টাকায় বাংলার সমুদ্র সৈকতে ঘোরার সুযোগ
লাক্সারি বাসে মাত্র ৩৪০টাকা ভাড়ায় দিনভর দীঘা, শঙ্করপুর, মন্দারমণি ও তাজপুর ঘুরে দেখার সুযোগ এনে দিল দীঘা শঙ্করপুর উন্নয়ন সংস্থা (Digha Sankarpur Development Authority)। আজ, শুক্রবার বড়দিন উপলক্ষে দীঘায় এই পরিষেবা চালু হচ্ছে। সার্কিট ট্যুরিজম ভাবনাকে সামনে রেখেই পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন এই পরিষেবার সূচনা করছে। শুক্রবার থেকে ১৪সিটের একটি বাস দিয়ে পরিষেবা চালু হলেও ২৮ডিসেম্বর আরও একটি বাস চলবে। ধাপে ধাপে বাসের সংখ্যা বাড়িয়ে ১০টি করা হবে। এই পদক্ষেপ সফল হলে আগামী দিনে গেঁওখালি, ময়না এবং তমলুক শহরেও পরিষেবা চালু হবে বলে অতিরিক্ত জেলাশাসক(ভূমি ও ভূমি সংস্কার) সুদীপ্ত পোড়েল জানিয়েছেন।
প্রতিদিন সকাল সাড়ে ৮টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত পর্যটকদের নিয়ে মোট ৯৬.৫ কিলোমিটার পথ ভ্রমণ করবে লাক্সারি বাস। সকাল সাড়ে ৮টায় দীঘায় অপরাজিতা কটেজ থেকে বাস ছাড়বে। সকাল ৯টায় বাস পৌঁছবে শঙ্করপুরে। সেখানে আধ ঘণ্টা সময় কাটানো যাবে। সকালের টিফিন সেরে সাড়ে ৯টায় শঙ্করপুর থেকে বাস রওনা দেবে তাজপুরের উদ্দেশে। সেখান থেকে দাদনপত্রবাড়ে, সিলামপুর। সেখানে স্নান ও মধ্যাহ্নভোজন সেরে ফেলতে হবে। ওই জায়গায় স্নানের সুবিধা আছে। সিলামপুর থেকে অমরাবতী পার্কে। সেখান থেকে ওসিয়ানা বিচে। তারপর ঢেউসাগরে। ২৫ডিসেম্বর থেকেই এই ঢেউসাগরে স্থায়ী মঞ্চে সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আসর বসবে। প্রতি শনি ও রবিবার ওই অনুষ্ঠান হবে। বিকেল ৪টে ৩৫মিনিট নাগাদ ঢেউসাগর থেকে বাস রওনা দেবে দীঘা বিজ্ঞান কেন্দ্রের উদ্দেশে। সন্ধ্যা ৬টায় বিজ্ঞান কেন্দ্র থেকে বাস ফিরে যাবে অপরাজিতা কটেজে। সেখান থেকে যে-যাঁর গন্তব্যস্থলে রওনা দেবেন।
অপরাজিতা কটেজে নির্দিষ্ট কাউন্টার থেকে টিকিট সংগ্রহ করতে করতে হবে। ভ্রমণের আগের দিনের মধ্যেই টিকিট কেটে নিতে হবে। সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত টিকিট কাউন্টার খোলা থাকবে। এই মুহূর্তে কাউন্টার থেকে টিকিট সংগ্রহ করতে হলেও পরবর্তী সময়ে অনলাইন পরিষেবা চালু করার চিন্তাভাবনা আছে দীঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন সংস্থার। দর্শনীয় স্থানের প্রবেশমূল্য, টিফিন কিংবা মধ্যাহ্নভোজন সবটাই ভ্রমণকারীর নিজের খরচ।
দীঘায় গাড়িভাড়া অনেকটাই বেশি। দীঘা থেকে মন্দারমণি যাতায়াতের জন্য প্রাইভেট গাড়িতে ১২০০থেকে ১৫০০টাকা ভাড়া। সেই জায়গায় প্রশাসনের এই পরিষেবা দারুণভাবে সফল হবে বলে অনেকেই বলছেন। অতিরিক্ত জেলাশাসক(ভূমি ও ভূমি সংস্কার) সুদীপ্ত পোড়েল বলেন, জেলাজুড়ে পর্যটনে আমরা জোর দিতে চাইছি। সার্কিট ট্যুরিজম ভাবনাকে সামনে রেখেই বড়দিনে দীঘায় এই পরিষেবা চালু হচ্ছে। আগামী দিনে অন্যান্য জায়গায় এধরনের পরিকল্পনা আছে।
দীঘা-শঙ্করপুর হোটেলিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক বিপ্রদাস চক্রবর্তী বলেন, বেশিরভাগ পর্যটক ট্রেনে, বাসে চেপে দীঘায় আসেন। তাঁদের কাছে স্বল্প খরচে বিভিন্ন বিচ এবং জায়গা ঘুরে দেখার সুবর্ণ সুযোগ এনে দেবে এই পরিষেবা। পর্যটকদের কাছে দীঘা আরও আকর্ষণীয় হয়ে উঠবে বলে আমরা আশা করছি।