ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টেই পাঠানো হবে ট্যাবের টাকা, নয়া উদ্যোগ রাজ্যের
ট্যাবের বদলে ১০ হাজার টাকা পেতে দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের তথ্য পাঠানোর জন্য হাতে সময় মাত্র তিনদিন। বাংলার শিক্ষা পোর্টালে প্রত্যেক পড়ুয়ার নাম, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট এবং আইএফএসসি কোড জানাতে হবে ২৮ ডিসেম্বরের মধ্যে। সরকারের বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে এই কাজ অসম্ভব বলে মনে করছে রাজ্যের স্কুলগুলি।
একাধিক ব্যাংক পরস্পরের মধ্যে মার্জ হওয়ায় অনেকের আইএফএসসি কোড বদলে যাচ্ছে। দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্রছাত্রীদের একটি বড় অংশের কোনও অ্যাকাউন্ট নেই। তাই তথ্য জমা দেওয়ার দিন না বাড়ালে প্রচুর ছাত্র-ছাত্রী সরকারি অনুদান থেকে বঞ্চিত হবে বলে জানিয়েছেন ‘স্টেট ফোরাম অফ হেড মাস্টার্স অ্যান্ড হেড মিস্ট্রেসেস’-এর সাধারণ সম্পাদক চন্দন কুমার মাইতি। তিনি বলেন, “জেলা পরিদর্শকরা আমাদের নির্দেশ দিয়েছেন ২৮ ডিসেম্বরের মধ্যে দ্বাদশ শ্রেণীর প্রত্যেক ছাত্র-ছাত্রীর ব্যাংক অ্যাকাউন্ট সংক্রান্ত তথ্য বাংলার শিক্ষা পোর্টালে আপলোড করতে হবে। কিন্তু প্রায় লক্ষাধিক ছাত্র-ছাত্রীর ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নেই। তার উপরে সরকারি পোর্টালের গতি অত্যন্ত শ্লথ। এই অবস্থায় মেয়াদ না বাড়ালে সবার নাম জানানো অসম্ভব।”
আগামী বছর যারা উচ্চমাধ্যমিক দেবে তাঁদের একদিনও ক্লাস হয়নি। করোনা (Coronavirus) সতর্কতায় টানা ন’মাস রাজ্যের কোথাও সরাসরি ক্লাস হচ্ছে না। স্কুল কবে খুলবে তার ঠিক নেই। অনলাইন পড়াশোনাই একমাত্র ভরসা। সেই কারণে দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রছাত্রীদের বিনামূল্যে ট্যাব দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সাড়ে ৯ লক্ষ ট্যাব দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন তিনি। এত ট্যাব জোগাড়ে সমস্যা দেখা দেয়। তাই সম্প্রতি নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee) ঘোষণা করেছেন, ছাত্র-ছাত্রীদের অ্যাকাউন্টে ট্যাব বা স্মার্টফোন কেনার জন্য ১০ হাজার করে টাকা পাঠানো হবে। আগামী তিন সপ্তাহের মধ্যে সরাসরি পড়ুয়াদের অ্যাকাউন্টে ওই টাকা পৌঁছে যাবে। মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার পরেই স্কুল শিক্ষা দপ্তরের কর্তারা বৈঠকে বসেন। ২৮ ডিসেম্বরের মধ্যে নাম জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। এত দ্রুত সরকারি পোর্টালে নাম তোলা নিয়েই সমস্যা দেখা দিয়েছে। সমস্যার কথা জানিয়ে ফোরামের তরফে চিঠি গিয়েছে স্কুলশিক্ষা দপ্তরে। কিন্তু কোনও উত্তর মেলেনি বলেই খবর।