‘দুধ চাইলে ক্ষীর দেব, বাংলা চাইলে চিরে দেব’, বিজেপি-কে তোপ সৌগত রায়ের
রীতিমতো ফিল্মি ভাষায় সদ্য বিজেপি-তে(BJP) যাওয়া শুভেন্দু অধিকারীকে(Suvendu Adhikari) আক্রমণ করলেন তৃণমূলের প্রবীণ সাংসদ সৌগত রায়(Saugata Roy)। হিন্দি ফিল্মের সংলাপ ‘দুধ মাঙ্গোগে তো ক্ষীর দেঙ্গে, কাশ্মীর মাঙ্গোগে তো চির দেঙ্গে’ থেকে অনুপ্রাণিত হয়েই যেন সৌগত শনিবার বললেন, ‘‘দুধ চাইলে ক্ষীর দেব, বাংলা চাইলে চিরে দেব।’’
বিজেপি-র সন্ত্রাসবাদীদের দ্বারা ‘শান্ত বাংলাকে অশান্ত করা’র চক্রান্তের বিরুদ্ধে এবং ‘কেন্দ্রীয় সরকারের বঞ্চনা’র প্রতিবাদে তৃণমূল(TMC) শনিবার আগরপাড়া স্টেশন রোডে উদয়ন সংঘ খেলার মাঠে জনসভা করে। উপস্থিত ছিলেন সৌগত রায়, রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক(JyotipriyaMallick), বিধানসভার মুখ্য সচেতক নির্মল ঘোষ(Nirmal Ghosh), মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য(Chandrima Bhattacharya), তাপস রায়(Tapas Roy) এবং প্রাক্তন মন্ত্রী মদন মিত্র(Madan Mitra)।
শনিবারের সভায় সৌগত স্পষ্টতই ইতিহাসের শরণ নেন। ২০০৬ সালে সিঙ্গুর আন্দোলনের সময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে(MAmata Banerjee) পুলিশের অত্যাচারের সম্মুখীন হতে হয়েছিল। সেই ঘটনার প্রতিবাদে তৃণমূলের বিধায়করা বিধানসভার মধ্যে চেয়ার-টেবিল ভাঙচুর করেছিলেন। সেই প্রসঙ্গ তুলে সৌগত বলেন, ‘‘সে দিন যারা উগ্র ভূমিকা নিয়েছিল, তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য দু’জন অর্জুন সিংহ এবং দুলাল বর। যাঁরা আজ আমাদের দলে নেই। তাঁরা এখন বিজেপিতে চলে গিয়ে উগ্র ভূমিকা পালন করছেন।’’
সৌগতর নিশানায় ছিলেন শুভেন্দুও। তিনি বলেন, ‘‘আমরা ওর মেদিনীপুরের মাটিতে গিয়ে যা বলার বলে এসেছি। এর পর আমরা ওর বাড়িতে মাইক বাজিয়ে বলে আসব।’’ এর পর আক্ষেপের সুরে সৌগত জানান, জীবনে আর শুভেন্দুর মুখদর্শন করবেন না।
চন্দ্রিমা তাঁর ভাষণে প্রধানমন্ত্রীকে নিশানা করে বলেন ‘‘পাঞ্জাবি পরে বাঙালি হওয়া যায় না। দাড়ি রাখলে রবীন্দ্রনাথ হওয়া যায় না। তেমনই বাংলার কৃষকদের বোকা বানানো যায় না।’’ জেলার বিভিন্ন প্রান্ত এর মানুষ সভায় উপস্থিত ছিলেন। শনিবারই দলীয় একটি কর্মীসভা থেকে রাজ্য বিজেপি-র সভাপতি দিলীপ ঘোষ তৃণমূলকে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন। বলেছিলেন, ‘‘আমার বিরুদ্ধে একগুচ্ছ মামলা করেছে। জীবনে আমি মারামারি করেননি। কিন্তু এ বার মারলে, বুঝতে পারবে। এমন মারব, ব্যান্ডেজ বাঁধার জায়গা থাকবে না। করোনার মতো হাসপাতালের বাইরে বেড বার করে দিতে হবে।’’ আগরপাড়ার সভা থেকে এর জবাব দেন মদন মিত্র। ফিল্মের সংলাপ ধার করে বলেন, ‘‘মারব এখানে লাশ পড়বে…।’’