নয়া আইন বাতিলের শর্ত কৃষকদের, আগামীকালের বৈঠক নিয়ে ফাঁপরে কেন্দ্র
মঙ্গলবার কেন্দ্রের সঙ্গে কৃষক সংগঠনগুলির বৈঠকে বসার কথা। কিন্তু সেই বৈঠক নিয়ে রীতিমতো ফাঁপরে পড়েছে কেন্দ্র(Central Govt)। কারণ ফের বৈঠকে বসতে চেয়েছিল আন্দোলনরত কৃষক সংগঠনগুলি(Kisan Morcha)। তবে শর্তও ছিল। তারা স্পষ্ট বলেছিল, আলোচনা হবে ওই আইন বাতিল করা নিয়েই। এদিকে কেন্দ্রের অবস্থান, কোনওভাবেই ওই আইন বাতিল করা হবে না। কৃষিমন্ত্রকের এক শীর্ষ আধিকারিক বলেন, আন্দোলনরত কৃষকরা(Farmers Protest) আলোচনায় বসতে চেয়েছেন। এটা ভালো কথা। কিন্তু আইন বাতিলের যে জেদ বজায় রাখা হয়েছে, তাতে কৃষিমন্ত্রী(Agricultural Minister) আদৌ আগামী কালের বৈঠকে বসবেন কি না, তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। কৃষিমন্ত্রী(nstomar) মুখে বলছেন, মোদি সরকারের কোনও ইগো নেই। কিন্তু আইন বাতিলের রাস্তায় যে সরকার হাঁটবে না তা একপ্রকার স্পষ্ট। দু’পক্ষের এই অনড় অবস্থানে বৈঠক হলে লাভের লাভ কিছুই হবে না। আবার বৈঠক এড়িয়ে গেলেও মুশকিল। কারণ তখন সবাই বলবে কৃষকরা বৈঠক চাইলেও, সরকার পাশ কাটাচ্ছে। তাই মঙ্গলবারের বৈঠক এখন কেন্দ্রের কাছে শাঁখের করাতের মতো। এদিকে, কৃষক সমস্যার দ্রুত সমস্যার সমাধান না হলে ১ জানুয়ারি থেকে কৃষি আন্দোলন তীব্র করবে বলে ঠিক করেছে কংগ্রেস। গত কয়েকদিন ধরে দিল্লির যন্তরমন্তরে ধর্ণা-বিক্ষোভ চালাচ্ছেন পাঞ্জাবের কংগ্রেস এমপিরা। অন্যদিকে, কংগ্রেসের(Congress) বিক্ষোভকে কটাক্ষ করেছে বিজেপি(BJP)। দলের সভাপতি জগৎপ্রসাদ নাড্ডা টার্গেট করেছেন রাহুল গান্ধীকে। লোকসভায় বলা রাহুলের একটি পুরনো ভিডিও ট্যুইট করে নাড্ডা বলেছেন, এ কী জাদু রাহুলজি? তখন তো আপনি দালালদের বিরুদ্ধেই সওয়াল করতেন। আর এখন উল্টো বলছেন। কংগ্রেসই তো কৃষি সংস্কার চেয়েছিল। তাহলে এখন বিরোধিতা কেন? পাল্টা জবাব দিয়েছেন কংগ্রেসের মুখপাত্র রণদীপ সিং সুরজেওয়ালা। তিনি বলেছেন, সংস্কার আমরাও চাই। তবে যে কৃষি আইন কৃষকদের ধনেপ্রাণে মারবে, এমন সংস্কার অবশ্যই চাই না।