উত্তর ২৪ পরগনায় বঙ্গধ্বনি যাত্রায় ব্যাপক সাড়া
বিধানসভা নির্বাচনের(West Bengal Assembly Election 2021) দামামা বেজে গিয়েছে। বিরোধীদের টেক্কা দিতে জনসংযোগের কাজে আগে থেকেই নেমে পড়েছে তৃণমূল কংগ্রেস(TMC)। এবার বঙ্গধ্বনি যাত্রাকে(Banga Dwoni Jatra) সামনে রেখে উত্তর ২৪ পরগনা(North 24 Pargana) জেলার ৩৩টি বিধানসভা কেন্দ্রে আড়াই লক্ষ কিলোমিটার পথ হাঁটলেন শাসকদলের নেতা-কর্মীরা! তাও আবার মাত্র ১৮ দিনে! শুধু তাই নয়, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee) উন্নয়নের রিপোর্ট কার্ডও(Report Card) জেলার এক কোটি বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। পূর্ব নির্ধারিত টার্গেট অনুযায়ী কর্মসূচি সফল হওয়ায় স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছে জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব।
গত ১১ ডিসেম্বর গোটা রাজ্যের সঙ্গে এই জেলাতেও শুরু হয়েছিল বিধানসভা ভিত্তিক বঙ্গধ্বনি যাত্রা। সেই কর্মসূচির আগে জেলা নেতৃত্ব দফায় দফায় বৈঠক করেছিল। কারণ, এই জেলায় ৩৩টি বিধানসভা রয়েছে। এই বিশাল এলাকা চষে ফেলতে প্রতিটি এলাকা ধরে ধরে রুটম্যাপ তৈরি করা হয়েছিল। তাতে কবে, কত কিলোমিটার পদযাত্রা করা হবে, কোথা থেকে শুরু হবে, কোথায় গিয়ে শেষ হবে, কোথায় নেতা-কর্মীরা খাবার খাবেন, এলাকার কোন কোন মন্দির ও ধর্মীয়স্থানে যাবেন ইত্যাদি সমস্ত তথ্য তার মধ্যে লিপিবদ্ধ করা হয়েছিল। ওই তথ্য অনুযায়ী, আড়াই লক্ষ কিলোমিটার পথ হাঁটার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়। ওই ম্যাপ জেলা থেকে এলাকার সকল নেতা-কর্মীদের দেওয়া হয়েছিল।
৩৩টি বিধানসভার দলীয় বিধায়ক এবং যেখানে বিধায়ক নেই সেখানে দলের চেয়ারম্যানদের পথে নামতে বলা হয়েছিল। এছাড়াও পাঁচটি লোকসভার সাংসদ, ২২টি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি, সহ সভাপতি, কর্মাধ্যক্ষ, সদস্য, ২৭টি পুরসভার পুর প্রশাসক ও প্রশাসক মণ্ডলীর সদস্য, ওয়ার্ড কো-অর্ডিনেটর এবং ২০০টি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান, উপ প্রধান ও সদস্যদের প্রায় সকলেই শামিল হয়েছিলেন। সোমবার ২৮ ডিসেম্বর বিধানসভা ভিত্তিক এই বঙ্গধ্বনি যাত্রা শেষ হয়েছে। এদিন পর্যন্ত আড়াই লক্ষ কিলোমিটার পথ হাঁটার টার্গেট সম্পন্ন হয়েছে। উত্তর ২৪ পরগনা জেলার তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি তথা মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক(JyotipriyaMallick) বলেন, ১৮ দিন ধরে বিধানসভা ভিত্তিক কর্মসূচি শেষ হল। মঙ্গলবার জেলাস্তরে একটি মিছিল করে এই বঙ্গধ্বনি যাত্রার সমাপ্তি হবে। আমাদের জেলায় এই কর্মসূচি খুবই ভালো হয়েছে। জেলা তৃণমূলের কো-অর্ডিনেটর নারায়ণ গোস্বামী বলেন, এই বঙ্গধ্বনি যাত্রায় আমাদের জেলার চার হাজার নেতা সক্রিয়ভাবে অংশ নিয়েছিলেন। ১৮ দিনে আড়াই লক্ষ কিলোমিটার পথ হাঁটার লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়েছে। এছাড়াও, আমরা জেলার এক কোটি বাড়িতে গিয়েছি। এক কোটি পরিবারের হাতে উন্নয়নের রিপোর্ট কার্ড বিলি করে দেওয়া হয়েছে। এক একটি বাড়িতে গড়ে চার-পাঁচজন ভোটার থাকেন। সেই হিসেবে আমরা এই কর্মসূচিতে প্রায় চার থেকে পাঁচ কোটি মানুষের কাছে পৌঁছতে পেরেছি। জেলার মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে আমাদের গ্রহণও করেছেন।