তারাপীঠ উন্নয়নে ৬ কোটি টাকা ঘোষণা মমতার
তারাপীঠে(Tarapith) উন্নয়নের জন্য দ্বিতীয় দফায় আরও ছ’কোটি টাকা দেওয়ার ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। বীরচন্দ্রপুকে তারাপীঠ-রামপুরহাট(Rampurhat) উন্নয়ন সংস্থার সঙ্গে অন্তর্ভুক্ত করার নির্দেশও দিয়েছেন। সোমবার বোলপুরের(Bolpur) গীতাঞ্জলি প্রেক্ষাগৃহে বীরভূম জেলা নিয়ে আয়োজিত প্রশাসনিক বৈঠকে এই ঘোষণা করেন। এদিন মুখ্যমন্ত্রী জেলার জন্য কল্পতরু হয়ে ওঠেন। দাবি অনুযায়ী বিভিন্ন প্রকল্পের জন্য অনুমোদন দিয়েছেন। তারসঙ্গে নিজে থেকেও একাধিক প্রকল্পের জন্য অর্থ বরাদ্দের ঘোষণা করেন। তাতে বীরভূম জেলাজুড়ে খুশির হাওয়া বইতে শুরু করে।
এদিন প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গেই মঞ্চে ছিলেন কৃষিমন্ত্রী আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়(Asish Banerjee)মুখ্যমন্ত্রী তাঁর কাছে তারাপীঠের উন্নয়নের ব্যাপারে খোঁজ নেন। তার পরিপ্রেক্ষিতে আশিসবাবু মুখ্যমন্ত্রীর কাছে দ্বিতীয় দফার বরাদ্দ চান। সে ব্যাপারে বৈঠকে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্তা মুখ্যমন্ত্রীকে জানান, এর আগে সাড়ে ১০কোটি টাকা দেওয়া হয়েছিল। দ্বিতীয় পর্যায়ে আরও ছ’কোটি টাকা দেওয়ার নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। সামনের সপ্তাহেই ওই টাকা দেওয়ার কথা বলেছেন সংশ্লিষ্ট আধিকারিক। তাছাড়া এদিন তিনি বক্রেশ্বর সতীপীঠের উন্নয়নের জন্যও তিন কোটি টাকা দেওয়ার নির্দেশ দেন। এর আগে অবশ্য বক্রেশ্বর মন্দিরের জন্য চার কোটি টাকা দেওয়া হয়েছিল। এছাড়া ফুল্লরাতলাতেও এক কোটি টাকা দেওয়ার নির্দেশ দেন। এছাড়া সেখানে সুন্দর করে বাউন্ডারি ওয়াল তৈরি করার কথাও বলেন।
মুখ্যমন্ত্রী এদিন নিজে থেকেই বলেন, সিউড়িতে(Siuri) ভালো মোরব্বা পাওয়া যায়। তাই সেখানে মোরব্বা হাব তৈরির নির্দেশ দিয়ে বলেন, মোরব্বা বিশ্ব বাংলা স্টলে বিক্রি করা যেতে পারে। এদিন মহম্মদবাজারের বেলগড়িয়ায় শহিদ রাজেশ ওরাংয়ের(Rajesh Orang) ছোট বোন শকুন্তলা ওরাংয়ের(Shakuntala ang)চাকরির নিয়োগপত্র তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী। লাদাখ সীমান্তে চীনা হামলায় শহিদ হওয়ার পর রাজেশের পরিবারকে রাজ্য সরকার আর্থিক সহযোগিতা দেওয়ার পাশাপাশি চাকরির প্রতিশ্রুতি দেয়। সেইমতো এদিন মুখ্যমন্ত্রী শকুন্তলাকে জেলাশাসকের অধীনে গ্রুপ সির চাকরির নিয়োগপত্র তুলে দিয়েছেন।