একুশে বেহালায় শোভন বনাম রত্না?
দলবদলের পর বিজেপিতে যোগ্য সম্মান না পাওয়ার কারণে শোভন চট্টোপাধ্যায় ও বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের মধ্যে একটা ক্ষোভ ছিল। যার জন্য দলের সঙ্গে তৈরি হয়েছিল দূরত্বও। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছিল যে রাতে দক্ষিণ কলকাতার বাড়িতে গিয়ে অরবিন্দ মেনন, কৈলাস বিজয়বর্গীয়রা গিয়ে তাঁর ক্ষোভ প্রশমনের চেষ্টা করেছিলেন। তার সময় কেটেছে ধৈর্যের মধ্যে দিয়ে।
অবশেষে শোভন চট্টোপাধ্যায়কে কলকাতার পর্যবেক্ষক বা অবজারভার করা হয়েছে। আর তাঁর বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়কে সহ–আহ্বায়ক করা হয়েছে। সুতরাং এখন তাঁদের মনে খুশির হাওয়া বলে মত রাজনৈতিক মহলের।
শোভন চট্টোপাধ্যায় (Sovan Chattopadhyay) ১৯৮৫ সাল থেকে বিভিন্ন খেপে কলকাতা পৌরসংস্থার পৌরপিতার কার্যভার সামলিয়েছেন। কিন্তু ২০১৮- র নভেম্বরে সেই ধারাবাহিকতায় ছন্দপতন ঘটে। ব্যক্তিগত সম্পর্কের টানাপড়েনের জেরে মন্ত্রীসভা এবং কলকাতার পুর সংস্থার পদ থেকে পদত্যাগ করেন, তৎকালীন দমকল মন্ত্রী এবং মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়।
বিশেষ সূত্রের খবর, একুশের নির্বাচনে বেহালা পশ্চিম আসনে গেরুয়া শিবিরের মুখ হতে চলেছেন শোভন বাবুই। কিন্তু নিজেদের ঘাঁটি কি এত সহজেই ছেড়ে দেবে তৃণমূল? একদমই না। ঘাসফুল শিবিরের হাতেও রয়েছে তুরুপের তাস। বেহালা পশ্চিমের একই আসন থেকে তৃণমূলের হয়ে লড়বেন শোভনের প্রাক্তন স্ত্রী রত্না চট্টোপাধ্যায়।
প্রাক্তন স্বামী- স্ত্রীর এই বিরল লড়াইয়ের সাক্ষী হতে এখন মুখিয়ে গোটা রাজ্য। দেখার পালা শেষ হাসি কে হাসে। শোভন-রত্না-বৈশাখীর ত্রিকোণ প্রেমের সমীকরণ ভোটবাক্সে কী প্রভাব ফেলবে, সেটাই দেখার।