‘খুব বেশি হলে হয়তো মৃত্যু হবে’- দ্বিতীয় দফার টিকা নিয়ে বললেন মেয়র
করোনার দ্বিতীয় দফার টিকা নিলেন পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)। গত ২ ডিসেম্বর প্রথম দফায় টিকা নিয়েছিলেন। তার ঠিক ২৮ দিন পর বুধবার নাইসেডে আবারও টিকা নিলেন তিনি। সূত্রের খবর, বিপ্লব যশ নামে যে যুবক প্রথমবার টিকা নিয়েছিলেন তিনিও দ্বিতীয় দফায় বুধবারই টিকা নিতে পারেন।
বুধবার নাইসেড থেকে ফিরহাদ হাকিমকে ফোন করা হয়। এদিন দ্বিতীয় দফায় ভ্যাকসিনের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ হবে বলেই জানানো হয় তাঁকে। সেই মতো ঠিক দুপুর একটার মধ্যে নাইসেডে (NICED) পৌঁছন পুর ও নগরোন্নয়ন দপ্তরের মন্ত্রী। পরীক্ষামূলকভাবে প্রথম দফায় টিকা নেওয়ার পরে কোনওরকম শারীরিক অসুবিধা হয়নি বলেই জানান পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী। বারবার নাইসেড থেকে ফোন করে শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নেওয়া হয়। ফিরহাদ হাকিম আরও বলেন, “হওয়ার সম্ভাবনা নেই। তবু খুব বেশি হলে হয়তো মৃত্যু হবে। একজনের মৃত্যু হবে। কিন্তু উপকার পাবেন অনেকেই। আমি ভারতীয়। তাই ভারতের আবিষ্কৃত ভ্যাকসিন আমার কাছে অত্যন্ত জরুরি।”
উল্লেখ্য, দেশের ২৪টি সেন্টারে ২৮ হাজার ৫০০ জনের উপর প্রয়োগ করা হবে কোভ্যাক্সিন (Covaxin)। তার মধ্যে বাংলায় এক হাজার জন। কোভ্যাক্সিনের ট্রায়ালের জন্য বয়স্ক অথচ কো-মরবিডিটি নেই স্বেচ্ছাসেবকের প্রয়োজন। তবে সূত্রের খবর, সেরকম পাওয়া যাচ্ছে না। নিয়মানুযায়ী নাইসেডের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আবেদন করা যেতে পারে। ট্রায়ালের পর ৩০ মিনিট নাইসেডে থাকতে হবে। অসুস্থ হয়ে পড়লে স্বেচ্ছাসেবককে ভরতি করা হবে হাসপাতাল অথবা নার্সিংহোমে। স্বেচ্ছাসেবকদের নাইসেডের ১০ কিলোমিটারের মধ্যে বসবাস করতে হবে। তবে দূরত্বের জন্য স্বেচ্ছাসেবক পেতে কিছুটা সমস্যায় পড়তে হচ্ছে নাইসেডকে। এদিকে, স্বেচ্ছাসেবকদের দেওয়া হয়েছে একটি ডায়েরি। তাতেই তাঁদের দৈনিক কার্যকলাপ লিখে রাখতে হচ্ছে। এছাড়াও প্রতি মাসে শারীরিক অবস্থার গতিপ্রকৃতি স্বেচ্ছাসেবককে নাইসেডে জানাতেও হয়।