রাজ্য বিভাগে ফিরে যান

বাড়ি বাড়ি স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের কুপন পৌঁছে দিচ্ছেন স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা

December 30, 2020 | 2 min read

অনেকেরই ধারণা ছিল স্বাস্থ্যসাথীর কার্ডের(Swasthya Sathi Card) জন্য আবেদন করাই সার হবে। কার্ড হাতে পেতে দীর্ঘ সময় গড়িয়ে যাবে। এত কার্ড কীভাবে তৈরি করা সম্ভব হবে তা নিয়েও অনেকেই সন্দিহান ছিলেন। কিন্তু সেই ধারণা ভুল প্রমাণ করেছে রাজ্য সরকার(Govt Of Bengal)। আবেদন করার কিছুদিনের মধ্যেই সমস্ত নথি আপলোড করার পর স্বনির্ভর গোষ্ঠীর(SelfHelp Groups) মহিলাদের(Women) দিয়ে বাড়ি বাড়ি কুপন পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। কবে কোথায় কার্ড পাওয়া যাবে তা ওই কুপনেই(Coupon) উল্লেখ রয়েছে। 
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, আবেদন করার সময় ক্যাম্পের কর্মীরা আবেদনকারীদের ফোন নম্বর লিখে রাখছেন। ফোন করেই স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যারা কুপন পৌঁছে দিচ্ছেন। তাছাড়া ওই কুপনেও উপভোক্তাদের নাম ও ঠিকানা উল্লেখ করা থাকছে। রেজিনগরের (Rejinagar)স্বনির্ভর গোষ্ঠীর এক সদস্যা বলেন, কয়েকদিন আগেই বাড়ি বাড়ি কুপন পৌঁছে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তার বিনিময়ে আমাদের পারিশ্রমিক দেওয়া হবে। তবে পারিশ্রমিকের পরিমাণ বেশি নয়। সেটাও কবে পাওয়া যাবে তাও জানা নেই। সংশ্লিষ্ট দপ্তরের আধিকারিক শুভদীপ গোস্বামী বলেন, কুপন নিয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই কার্ড দেওয়া হচ্ছে। প্রতিটি পঞ্চায়েতে তারজন্য কর্মীরা কাজ করছেন। এছাড়া ব্লকেও কার্ড তৈরি করে দেওয়া হচ্ছে। তারজন্য বায়োমেট্রিক সহ আরও কিছু সরঞ্জাম রয়েছে। পঞ্চায়েত বা ব্লকে কবে যেতে হবে তা ওই কুপনেই উল্লেখ করা থাকছে।
প্রশাসন সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, উপভোক্তাদের সুবিধার কথা চিন্তা করেই বাড়ি বাড়ি কুপন পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। কার্ডের জন্য তাঁদেরকে সরকারি অফিসে দরবার করতে হচ্ছে না। দুয়ারে সরকার কর্মসূচিতে আবেদন করার পর প্রায় এক লক্ষ ৭০হাজার উপভোক্তাকে কার্ড দেওয়া হয়েছে। তবে কার্ড হাতে পাওয়ার পর উপভোক্তাদের মধ্যে দু’রকম প্রতিক্রিয়া তৈরি হচ্ছে। একাংশের দাবি, কার্ড নিয়ে যাওয়ার পরও অনেক বেসরকারি হাসপাতালে পরিষেবা পাওয়া যাচ্ছে না। বিভিন্ন অছিলায় ঘুরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। কোথাও আবার বলা হচ্ছে কার্ড থাকলেও অতিরিক্ত খরচ বহন করতে হবে। অন্য পক্ষের অবশ্য দাবি, তাঁরা সুবিধা পেয়েছেন। স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে বিনামূল্যে অপরেশনও হয়েছে। আধিকারিকরা বলেন, কোন কোন হাসপাতালে এই কার্ডের সুবিধা পাওয়া যাবে তা নির্দিষ্ট বইয়ে উল্লেখ রয়েছে। ওই হাসপাতাল বা নার্সিংহোমগুলিতে গেলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ চিকিৎসা পরিষেবা দিতে বাধ্য। তা না হলে আইনমাফিক পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে। 
প্রশাসন সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, স্বাস্থ্যসাথী কার্ড পাওয়ার জন্য প্রায় ১২লক্ষ আবেদন জমা পড়েছে। কিছু কিছু জায়গায় একই পরিবারের একাধিক আবেদন জমা পড়েছে। আবেদন পত্রগুলি খতিয়ে দেখার পরেই আপলোড করা হচ্ছে। সবকিছু নথি ঠিক থাকলে কুপন দেওয়া হচ্ছে। প্রতিটি ব্লকেই স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে তা পৌঁছে দেওয়ার কাজ শুরু করেছেন।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Swasthya Sathi, #Duare Sarkar, #self help group

আরো দেখুন