দক্ষিণবঙ্গ বিভাগে ফিরে যান

দেড় ঘণ্টায় স্বাস্থ্যসাথী কার্ড পেয়ে ভেলোর গেলেন রোগী

January 1, 2021 | 2 min read

ছবি সৌজন্যেঃ বর্তমান

আবারও একবার দুয়ারে সরকারের(Duare Sarkar) সুফল পেলেন সাধারণ মানুষ।  মাত্র দেড় ঘণ্টার মধ্যে ক্যান্সারে(Cancer) মরণাপন্ন রোগীর পরিবারের হাতে স্বাস্থ্য সাথীর কার্ড দিয়ে  দৃষ্টান্ত স্থাপন করল বিষ্ণুপুর(Bishnupur) ১ নম্বর ব্লক প্রশাসন। আর সেই কার্ডের ভরসায় বৃহস্পতিবার রোগীকে সঙ্গে নিয়ে বাড়ির লোকজন রওনা দিলেন ভেলোর(Vellore)। প্রশাসনের এই উদ্যোগে বেশ খুশি সামসুদ্দিন ঢালি নামে ওই রোগীর পরিবার। যন্ত্রণায় কাতর এই রোগী মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাতে কিন্তু ভোলেননি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee) নিজের কৃতজ্ঞতা স্লেটে লিখে প্রকাশ করেছেন তিনি। রেননি। জানা গিয়েছে, মুখের ক্যান্সারে আক্রান্ত দৌলতপুর(Daulatpur) গ্রামের বাসিন্দা সামসুদ্দিনের শারীরিক অবস্থার অবনতি শুরু হয় বেশ কিছু দিন ধরেই। চিকিৎসকরা এক প্রকার জানিয়ে দেন, এখানে আর কিছু করা সম্ভব নয়। 
ভেলোরে নিয়ে যেতে হবে। হতদরিদ্র এই পরিবারের আর্থিক অবস্থা ভালো নয়। ফলে এত টাকা খরচ করে সেখানে নিয়ে চিকিৎসা করানো ব্যাপার দিশাহীন হয়ে পড়েছিলেন তাঁর পরিবার। রোগীর এই অবস্থা সম্পর্কে জানতে পারেন স্থানীয় তৃণমূল(TMC) ব্লক সভাপতি বাবান গাজি। তিনিই মূলত এই কার্ড তুলে দিতে উদ্যোগ নেন। চিকিৎসকদের মতে, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব রোগীকে ভেলোর পাঠাতেই হবে। 
এই অবস্থায় বিষ্ণুপুরের বিধায়ক দিলীপ মণ্ডলের (Dilip Mondal) সহযোগিতায় শাসক দলের পক্ষ থেকে শুরু হয়ে যায় দৌড় ঝাঁপ। এদিকে বিডিওকে দ্রুত এই কার্ড তৈরি করে দেওয়ার অনুরোধ করেন বাবান গাজি। কিন্তু সেটা করতে কয়েকটা দিন সময় লাগবে বলে ব্লক অফিস থেকে জানানো হয়। কিন্তু এর মধ্যে সামসুদ্দিনের স্ত্রী জানান, দুয়ারে সরকারের ক্যাম্পে তিনি এই কার্ডের জন্য ফর্ম জমা দিয়েছেন। এরপরই সেই আবেদনের রশিদ এবং আধার কার্ড নিয়ে শুরু হয় খোঁজ খবর। শেষমেশ  সেই আবেদনের ভিত্তিতে এই কার্ড করার জন্য সরকারি আধিকারিকরা যাবতীয় নথি এবং বায়োমেট্রিক পরিচয়পত্রের জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম নিয়ে হাজির হন ওই রোগীর বাড়িতে। ততক্ষনে স্বাস্থ্য দপ্তরের সঙ্গেও কথা বলা হয়ে গিয়েছে ব্লক প্রশাসনের। স্থানীয় তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা উদ্যোগ নিয়ে ওই রোগীর ট্রেনের টিকিটও কেটে ফেলেন। কিন্তু সেটা কনফার্ম করার জন্য বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয়। দুটি কাজই সমান্তরালে চলতে থাকে। শেষ পর্যন্ত বুধবার রাতে দেড় ঘণ্টার মধ্যে এই স্বাস্থ্য সাথীর কার্ড তৈরি করে তুলে দেওয়া হয় রোগীর পরিবারের হাতে। আর বৃহস্পতিবার সকালে ট্রেনের টিকিটও কনফার্ম হয়ে যায়। এদিন রাতেই ভেলোরের উদ্দেশ্যে রওনা দেন সামসুদ্দিন ও তাঁর স্ত্রী। এই গোটা প্রক্রিয়া নিয়ে  বাবান গাজি বলেন, এটা একটা যুগান্তকারী পদক্ষেপ। এত কম সময়ের মধ্যে এভাবে কাউকে কার্ড তৈরি করে দিতে পেরে আমরা সবাই খুশি।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Cancer, #Mamata Banerjee, #Vellore, #SwasthyaSathi

আরো দেখুন