বিজেপি সৃষ্ট ‘মানসিক চাপ’ থেকেই কি মহারাজের হৃদযন্ত্রে প্রভাব?
নতুন বছরের গোড়াতেই বিপত্তি। ২রা জানুয়ারি সকালে বাড়িতে ট্রেডমিলে হাঁটার সময় বুকে-পিঠে ব্যথা অনুভব করেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। তার পর আচমকা অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। ওই অবস্থায় দক্ষিণ কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ফোন করেন সৌরভ। এর পর তাঁকে আলিপুরের সেই হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।
সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Sourav Ganguly) শারীরিক অবস্থা এখন আগের থেকে অনেকটাই স্থিতিশীল। তাঁর করোনা রিপোর্টও নেগেটিভ এসেছে বলে জানিয়েছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। ইতিমধ্যেই সৌরভের হৃদ্যন্ত্রের একটি ধমনীতে অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টি করে ‘স্টেন্ট’ বসানো হয়েছে। তাঁর যেটা হয়েছে, চিকিৎসার পরিভাষায় তাকে ‘মায়োকার্ডিয়াল ইনফারকশন’ বলে।
এমনিতে বয়স ৪৫ পেরোলে কিন্তু হার্ট অ্যাটাক (Heart Attack) হওয়া অস্বাভাবিক কিছু নয়। কারণ, এই বয়সে অনেক রকমের রিস্ক ফ্যাক্টর তৈরি হয়। তবে সকলের ক্ষেত্রেই হয়, এমনটা নয়। সৌরভের ক্ষেত্রে এই ফ্যাক্টরগুলো অনেকটাই কম। প্রথমত, ডায়বেটিক নন। দ্বিতীয়ত, ধূমপান করেন না। তবে এ ক্ষেত্রে পারিবারিক রিস্ক ফ্যাক্টর হার্ট অ্যাটাকের কারণ হয়ে থাকতে পারে। তবুও প্রশ্ন ওঠে, কেন হঠাৎ হার্ট অ্যাটাক হল তাঁর?
আমরা জানি বেশ কয়েক মাস ধরে সৌরভকে নিয়ে রাজনীতিতে জল্পনা চলছে। বিজেপির মুখ্যমন্ত্রীর মুখ হওয়ার জন্য তাঁর কাছে প্রস্তাব এসেছে বলেও জানা গিয়েছে। যদিও, সূত্রের খবর সৌরভ রাজনীতিতে আসতে ইচ্ছুক নন, তবুও তাঁর ওপর চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছিল নির্বাচনে লড়ার জন্য। তাতেই কি কাল হল? বিজেপি কি প্রাক্তন অধিনায়কের ওপর এতটাই মানসিক চাপ দিচ্ছিল, যে তাঁর হৃদযন্ত্রে প্রভাব পড়ল?