খড়দহে পাল্টা সভা তৃণমূলের, উপচে পড়ল ভিড়
রবিবার খড়দহে পাল্টা সভা থেকে বিজেপিকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করল তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব। বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়কে ঝাঁটা নিয়ে তাড়া করার নিদান দিয়েছেন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় (Saugata Roy)। এদিনই বনগাঁর একটি পৃথক কর্মসূচি থেকেও বিজেপিকে আক্রমণ করেছে তৃণমূল। সেখানে মারের পাল্টা মারের হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন জেলা তৃণমূলের সভাপতি তথা খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক।
পুলিসের লাঠিচার্জের প্রতিবাদে গত ২৯ ডিসেম্বর খড়দহ থানার সামনে সভা করেছিল বিজেপি। তারই পাল্টা হিসেবে রবিবার বিকেলে খড়দহের সূর্যসেন মাঠে বিশাল জনসভার আয়োজন করে তৃণমূল কংগ্রেস (Trinamool Congress)। সেখানে জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান নির্মল ঘোষ, মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, তাপস রায়, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, প্রাক্তন মন্ত্রী মদন মিত্র সহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন। সভাপতিত্ব করেন খড়দহের পুর প্রশাসক কাজল সিনহা। শাসকদলের সভায় ভিড় উপচে পড়েছিল। দলে দলে তৃণমূল কর্মীরা মিছিল করে সভাস্থলে হাজির হন। বিজেপির চেয়ে বেশি ভিড় করার টার্গেটও নিয়েছিল তৃণমূল। তৃণমূল নেতৃত্ব দাবি করেছে, বিজেপির সভার চেয়ে দ্বিগুণের বেশি ভিড় হয়েছে। কারণ, বাংলার মানুষ শান্তি চায়। তাই তাঁরা বিজেপির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াচ্ছে। তাই এলাকার মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে আমাদের সভায় যোগদান করেছে।
খড়দহের এই সভা থেকে ‘ভাইপো’ প্রসঙ্গ তুলে বিজেপি নেতাদের হুঁশিয়ারি দিয়ে সৌগত রায় বলেন, বাপের বেটা হলে ওরা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম নিয়ে ওর বিরুদ্ধে কোনও দুর্নীতির প্রমাণ তুলে ধরুক। বোলপুরে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রান্না করার প্রসঙ্গ তুলে বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয় যে কটাক্ষ করেছিলেন, এদিনের মঞ্চ থেকে তারও জবাব দেন সৌগতবাবু। তিনি সভায় উপস্থিত মহিলাদের উদ্দেশ্যে বলেন, কৈলাস যা বলেছেন তা শুধু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) নয়, গোটা মহিলা সমাজের অপমান। কৈলাসকে দেখলে মহিলারা ঝাঁটা নিয়ে তাড়া করুন। তিনি বলেন, বিজেপির হনুমানরা লাফিয়ে লাফিয়ে বাংলায় এসে পড়ছে। তার একটার নাম অমিত শাহ।
এদিন বনগাঁয় পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্পের কার্নিভাল ও বাইক মিছিলের উদ্বোধন করতে এসেছিলেন মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। কয়েক হাজার তৃণমূল কর্মী বাইক মিছিলে অংশ নেন। এদিন সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে জ্যোতিপ্রিয়বাবু বলেন, আমি অনেকদিন ভদ্র ছিলাম। বিজেপি (BJP) রাজ্য সভাপতি আমাদের কর্মীদের গুলি করে দেবে বলছে। শুধু তাই নয়, আমাদের কর্মীদের শ্মশানে পাঠানোর হুমকি দিচ্ছে। আমাদের কর্মীদের খুন করা হলে আমরা হাত গুটিয়ে বসে থাকবো না। আমি ওদের মতো গুলি করার হুমকি দিচ্ছি না। তবে জেনে রেখে দিন, মারলে পাল্টা মার দেব। মার খেলে তবেই ওরা শিক্ষা পাবে। আপনারা পাল্টা লড়াইয়ের প্রস্তুতি নিন।