স্বাস্থ্য বিভাগে ফিরে যান

অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টির পর যে বিষয়গুলি খেয়াল রাখতে হয়

January 4, 2021 | 2 min read

এখন বেশ কিছুটা সুস্থ রয়েছেন প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক সৌরভ গাঙ্গুলি। করোনারি আর্টারিতে অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টি (Angioplasty) করতে হয়েছে তাঁর। এখন অনেকের মনেই প্রশ্ন জাগছে, ঠিক কী এই অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টি ? দেখে নেওয়া যাক সুবিধাগুলি এবং অসুবিধাগুলি কী?

অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টি একটি শল্যচিকিত্সা যাতে হৃৎপিণ্ডের পেশীগুলিতে রক্ত ​​সরবরাহকারী রক্তনালীগুলি খোলা হয়। মেডিক্যাল ভাষায় এই রক্তনালীগুলিকে করোনারি ধমনী বলা হয়। হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোকের মতো সমস্যার পরে চিকিত্সকরা প্রায়শই অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টি অবলম্বন করেন।

এক থেকে দেড় ঘণ্টার মধ্যে চিকিত্সা প্রয়োজন- এই পদ্ধতিটিকে পার্কিউটেনিয়াস ট্রান্সুলামিনাল করোনারি অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টিও বলা হয়। অনেক ক্ষেত্রে চিকিত্সকরা এঞ্জিওপ্লাস্টির পরে রক্তনালীগুলিতে করোনারি আর্টারি স্টেন্টগুলিও প্রবেশ করান। এই স্টেন্ট আবার শিরাতে রক্ত ​প্রবাহ পুনরুদ্ধার করতে কাজ করে। হার্ট অ্যাটাকের পরে, এক থেকে দুই ঘন্টার মধ্যে অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টি করা উচিত।

হেলথলাইনের রিপোর্ট মোতাবেক, এক ঘন্টার মধ্যে রোগী অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টি করলে মৃত্যুর ঝুঁকি হ্রাস করা যায়। যত তাড়াতাড়ি এটি করা হবে, হৃদরোগের ঝুঁকি কম হবে। তিন ধরণের অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টি রয়েছে। বেলুন অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টি, লেজার অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টি এবং অ্যাথেরেক্টোমি অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টি।

অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টির উপকারিতা- সোসাইটি ফর কার্ডিওভাসকুলার অ্যাঞ্জিওগ্রাফি অ্যান্ড ইন্ট্রাভেনশনস সোসাইটির রিপোর্ট অনুসারে, অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টি এক ব্যক্তির জীবন বাঁচাতে পারে। নজিওপ্লাস্টি যত তাড়াতাড়ি ঘটে, হৃদয়ের পেশীর ক্ষতি কম হয়। হার্ট অ্যাটাকের পরে বুকে ব্যথাতেও অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টি স্বস্তি দেয়। এটি রক্ত ​​জমাট বাঁধা এবং হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকিও হ্রাস করতে পারে।

অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টির অসুবিধা – প্রতিটি চিকিত্সা পদ্ধতিতে কিছুটা ঝুঁকি থাকে। অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টিতে রোগীদের অ্যানেশথিক, রঞ্জক বা অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টিতে ব্যবহৃত কিছু উপাদানের সাথে অ্যালার্জি হতে পারে। এছাড়াও, ব্লকড ধমনীতে রক্তপাত, জমাট বাঁধা বা ক্ষতবিক্ষত’র মতো সমস্যা হতে পারে। অস্ত্রোপচারের পরে অনিয়মিত হার্টবিট হওয়ার ঝুঁকিও রয়েছে।

এটি রক্তনালী, হার্টের ভালভ এবং ধমনীতে ক্ষতির কারণ হতে পারে। এছাড়া এই প্রক্রিয়া দ্বারা মানব কিডনিও ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। যাদের কিডনির রোগ রয়েছে তাঁদের আরও বেশি সাবধান হওয়া উচিৎ। শরীরে সংক্রমণ ছড়িয়ে যাওয়ার ঝুঁকিও রয়েছে।

অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টির পরে অবহেলা এড়ান- সফল অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টির পরে, চিকিত্সকরা রোগীকে আগের চেয়ে বেশি যত্নবান হওয়ার পরামর্শ দেন। চিকিৎসকের পরামর্শে ওষুধ খেতে থাকুন। আপনি যদি ধূমপানের আসক্ত হন তবে এটি ছেড়ে দেওয়া ভাল। একটি ভাল এবং ভারসাম্যযুক্ত ডায়েট অনুসরণ করা গুরুত্বপূর্ণ।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Angioplasty, #Sourav Ganguly

আরো দেখুন