দক্ষিণবঙ্গ বিভাগে ফিরে যান

আরামবাগে মিছিল ঘিরে ফের বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে

January 5, 2021 | 2 min read

আরামবাগে ফের বিজেপির গোষ্ঠী কোন্দল প্রকাশ্যে এসেছে। নয়া কৃষি আইনের সমর্থনে সোমবার বিকেলে আরামবাগে মিছিল করে বিজেপি। যদিও সেখানে নব্যগোষ্ঠীর একাংশ উপস্থিত ছিল না। মিছিলে অংশ নিতে দেখা যায়নি খোদ বিজেপির আরামবাগ সাংগঠনিক জেলা সভাপতি বিমান ঘোষকেও। যার জেরে আদি ও নব্যগোষ্ঠীর মধ্যে ফাটল স্পষ্ট হয়েছে।

প্রসঙ্গত, আরামবাগে (Arambagh) আদি ও নব্য বিজেপির সংঘাত দীর্ঘদিনের। এর আগে আদি বিজেপি কর্মীরা নব্যদের বিরুদ্ধে বিজেপি ‘বাঁচাও কমিটি’ তৈরি করে দলের রাজ্য ও কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে বার্তা দিতে চেয়েছিলেন। বর্তমানে তার নাম বদল হয়েছে ‘প্রতিবাদী মঞ্চ’। দলে গুরুত্ব না পাওয়ায় আদি বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা এর আগে একাধিকবার নব্য বিজেপিদের বিরুদ্ধে তোপও দাগেন। গত ডিসেম্বর মাসে শহরে বিজেপি রাজ্য নেতৃত্ব দিলীপ ঘোষের সভায় গরহাজির ছিলেন আদি বিজেপি কর্মী সমর্থকদের একাংশ।

এদিন আরামবাগে আদিগোষ্ঠীর মিছিল হয়। শহরের দৌলতপুর বিজেপি (BJP) পার্টি অফিস থেকে তা শুরু হয়। কিন্তু, সেখানে নব্যদের দেখা যায়নি। এমনকী হরিপাল, তারকেশ্বর থেকে আসা বিজেপি কর্মী সমর্থকদের এদিন আরামবাগের মিছিলে অংশ নিতে বাধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। যার জেরে বিজেপির দুই গোষ্ঠীর বিভাজন আর আড়াল করার জায়গা থাকল না বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

আরামবাগ শহরের এক বিজেপি নেতার দাবি, গত লোকসভা নির্বাচনে দল এই কেন্দ্রে ভালো ফল করে। সেই সময় আমরা একসঙ্গে দলের হয়ে কাজ করেছি। তারপর থেকেই নতুন করে যারা বিজেপিতে যোগ দিয়েছে, তাদের একাংশের হাতেই সাংগঠনিক জেলার দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয়। দলে এখন পুরনো দিনের কর্মী সর্মথকরা গুরুত্ব পাচ্ছে না।

বিজেপির আরামবাগ শহর মণ্ডলের সাধারণ সম্পাদক অরবিন্দ সমাজি বলেন, তৃণমূলের লাগাতার সন্ত্রাসের প্রতিবাদে ও নয়াকৃষি আইনের সমর্থনে এদিন মিছিল করা হয়েছে। যারা দলকে মনে প্রাণে ভালোবাসে, যারা দলের কর্মসূচিকে গুরুত্ব দিতে চায়, তারাই এদিন মিছিলে অংশ নিয়েছে।

দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এর আগে দলের একাধিক কর্মসূচিতে যে সকল ফ্লেক্স-ব্যানার তৈরি হয়েছে, তাতে কেন্দ্রীয় ও রাজ্য নেতৃত্বের পাশাপাশি বিমানবাবুর ছবি রাখা হয়েছিল। কিন্তু, এদিনের মিছিলে যে ফ্লেক্স ব্যবহৃত হয়েছে, তাতে কেন্দ্র ও রাজ্য নেতাদের ছবি থাকলেও বিমানবাবুর ছবি ছিল না। বিমানবাবু বলেন, প্রতিদিনই সাংগঠনিক জেলায় একাধিক কর্মসূচি হচ্ছে। সব কর্মসূচিতে তো আর অংশগ্রহণ করা সম্ভব নয়। তবে তাই বলে আমাদের মধ্যে কোনও দ্বন্দ্ব নেই। আমার ছবি কেন এদিন ওই ফ্লেক্সে ব্যবহৃত হয়নি, তা খোঁজ নিয়ে দেখছি। এদিন মিছিলে অংশগ্রহণ করতে বাধা দেওয়ার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এক রাজনৈতিক দলেরই একাংশ চায়নি, আমাদের মিছিল সফল হোক। যে কারণে কর্মী সমর্থকদের বাধা দেওয়া হয়েছে। যদিও তিনি নিজের দল বা বিরোধী কোনও দলের নাম মুখে আনেননি। তবে রাজনৈতিক মহল এটাকে গেরুয়া শিবিরেরই কোন্দল বলে মনে করছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, বিজেপি একুশে সরকার গঠনের কথা বলছে। কিন্তু, এই কোন্দল আগামী দিনে গেরুয়া শিবিরে অন্দরে বড় রকম প্রভাব ফেলতে পারে।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#bjp, #Arambagh

আরো দেখুন