আধার-প্যান-ভোটার কার্ড ছাড়া মিলবে না করোনার ভ্যাকসিন- ঘোষণা মোদী সরকারের
আগামী ১৩ জানুয়ারি থেকে ভারতে শুরু হচ্ছে কোভিডের (COVID) টিকাকরণ। ধাপে ধাপে প্রত্যেকে এই টিকা (Vaccine) পাবেন। তাই ভারতের লক্ষ লক্ষ মানুষকে কোভিডের টিকা দেওয়ার জন্য ‘কোউইন’ নামে একটি অ্যাপ তৈরি করেছে সরকার। ১২ টি ভাষায় কাজ করবে ওই অ্যাপ। সেই সঙ্গে টিকাকরণের জন্য কাজে লাগবে আধার কার্ড। স্বাস্থ্যমন্ত্রক থেকে মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠকে বলা হয়েছে, যিনি টিকা নেবেন তাঁকে আধার কার্ড আনতে বলা হবে। অনিয়ম এড়ানোর জন্য ওই ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়াও, আগামী দিনে বিশেষ হেলথ আইডেনটিটি কার্ড করারও পরিকল্পনা রয়েছে। যাঁরা টিকা নেবেন, তাঁদের ওপরে নজর রাখা হবে। এর ফলে কারও দেহে যদি বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা যায়, তাহলে জানা যাবে সঙ্গে সঙ্গে।
যাঁদের এই টিকা দেওয়া হবে, তাঁদের কাছে এসএমএস যাবে। মোট ১২ টি ভাষায় এসএমএস পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রত্যেককে ভ্যাকসিনের দু’টি ডোজ দেওয়ার পরে একটি করে কিউ আর কোড নির্ভর সার্টিফিকেট দেওয়া হবে। সেই সার্টিফিকেট মোবাইলে রাখা যাবে। এছাড়া যাঁরা ভ্যাকসিন নেবেন, তাঁদের সম্পর্কে তথ্য ডিজি লকার নামে এক ডকুমেন্ট স্টোরেজ অ্যাপে থাকবে। সেই সঙ্গে থাকবে হেল্পলাইন। তা সপ্তাহের সাতদিন ২৪ ঘণ্টা চালু থাকবে।
এর আগে টিকাকরণ সম্পর্কে বিস্তারিত জানান দিল্লীর অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্স (এইমস)-এর প্রধান রণদীপ গুলেরিয়া। তিনি বলেন, টিকার অগ্রাধিকার যাঁরা পাবেন তাঁদের মোবাইলে এসএমএস আসবে। সেখানে টিকা নেওয়ার সময় ও জায়গা বলা থাকবে। নির্ধারিত দিনে টিকাকরণ শিবিরে পৌঁছে যেতে হবে। মুখে মাস্ক থাকা বাধ্যতামূলক। লাইনে দাঁড়াতে হলে সোশ্যাল ডিস্টেন্সিং মানতে হবে। টিকার ড্রাই-রানে স্বাস্থ্যকর্মীদের দিয়ে এইসব মহড় আগেই হয়েছে।
তাই টিকাকরণ যাতে নির্বিঘ্নে হয় সে দিকে নজর রাখবেন স্বাস্থ্যকর্তারা। টিকার ইঞ্জেকশন দেওয়ার আগে পরিচয়পত্র দেখাতে হবে। যাঁরা টিকা পাবেন তাঁদের নাম সরকারি খাতায় রেকর্ড করা থাকবে। একে একে টিকার ইঞ্জেকশন নেওয়ার জন্য ভেতরে ঢোকানো হবে। ইন্টারমাস্কুলার বা পেশির নিচে টিকার ইঞ্জেকশন দেওয়া হবে। ডোজ দেওয়ার পরে ৩০ মিনিট অপেক্ষা করানো হবে। তার জন্য অবজারভেশন রুম থাকবে। এই আধঘণ্টার মধ্যে কোনওরকম শারীরিক অস্বস্তি শুরু হলে সঙ্গে সঙ্গেই তা জানাতে হবে। যথাযোগ্য ব্যবস্থা নেবেন স্বাস্থ্যকর্মী, আশা কর্মীরা।