দু–একদিনের মধ্যেই কলকাতায় পৌঁছবে ভ্যাকসিন
সুখবর! আর দু–একদিনের মধ্যেই শহর কলকাতায় আসতে পারে সিরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়ার (Serum Institute of India) বানানো ভ্যাকসিন (Vaccine)। মঙ্গলবার রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার (৭ জানুয়ারি) বা শুক্রবার (৮ জানুয়ারি) কলকাতা বিমানবন্দরে ভ্যাকসিন আসার সম্ভাবনা রয়েছে।
ভ্যাকসিন আসার পর আপাতত বাগবাজারে সরকারি মেডিক্যাল স্টোরে রাখা হবে সেগুলি। সেখান থেকে যাবে কলকাতার বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজে। আর জেলায় স্বাস্থ্য দফতরের যে সব নির্দিষ্ট মেডিক্যাল স্টোর রয়েছে সেখানেও রাখা থাকবে ভ্যাকসিন। তবে ভ্যাকসিন স্থানান্তরের ক্ষেত্রে তা নিয়ে যাওয়া হবে স্বাস্থ্য দফতরের রেফ্রিজারেটেড বা ভ্যাকসিন ভ্যানে। ভ্যান বা মেডিক্যাল স্টোরে ভ্যাকসিন রাখতে হবে –৩ ডিগ্রি বা –৪ ডিগ্রি সেলসিয়ায় তাপমাত্রায়।
ভ্যাকসিন বিলি, বিতরণ ও সংরক্ষণের জন্য প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো ও যাবতীয় ব্যবস্থা কীভাবে করা হবে তা নিয়ে মঙ্গলবার স্বাস্থ্যভবনে একটি উচ্চপর্যায়ের বৈঠক হয়। বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, নিজস্ব মানবসম্পদ ও পরিকাঠামো ব্যবহার করেই প্রাথমিক পর্যায়ে সব সামাল দেবে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। পাশাপাশি প্রস্তুত পুরসভাও। ভ্যাকসিন বিলি নিয়ে পুরসভা একটি টাস্ক ফোর্স তৈরি করেছে। শুক্রবার সেই টাস্ক ফোর্সের বৈঠক হওয়ার কথা। কলকাতা পুরসভার প্রধান প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, পুরসভা বরাবরই ভ্যাকসিনেশনের কাজ করে। আমাদের কোল্ড স্টোরেজ প্রস্তুত। আমরাও প্রস্তুত। অনুমতি পেলেই ভ্যাকসিন দেওয়ার কাজ শুরু হয়ে যাবে। প্রথমেই ভ্যাকসিন পাবেন স্বাস্থ্যকর্মী, সাফাইকর্মীদের মতো কোভিড যোদ্ধারা।’
এদিকে, ইতিমধ্যে রাজ্যের কোভিড যোদ্ধাদের তালিকা চূড়ান্ত করতে জেলাশাসক ও পুর প্রশাসকদের নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য সরকার। এ ব্যাপারে মঙ্গলবারই রাজ্যের মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ‘পুরকর্মী, সাফাইকর্মী, স্বাস্থ্যকর্মী— মারণ ভাইরাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে যাঁরা সরকারের পাশে থেকে লড়াই করেছেন তাঁদের একজনের নামও যেন বাদ না পড়ে। প্রথম দফায় বিনা পয়সায় কোভিড যোদ্ধাদের এই ভ্যাকসিন দিতে চায় কেন্দ্র। রাজ্য সরকার দু–একদিনের মধ্যে কোভিড যোদ্ধাদের একটা তালিকা ভাল করে পরীক্ষা করে সরকারি পোর্টালে আপলোড করবে। কেন্দ্র যাতে এ নিয়ে রাজ্যের প্রতি কোনও খামতির অভিযোগ না তুলতে পারে— সেই চেষ্টাই করছি আমরা।’