দেশ বিভাগে ফিরে যান

নোটবন্দীর কথা টিভিতেই প্রথম জানতে পারি- বিস্ফোরক স্বীকারোক্তি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের

January 6, 2021 | < 1 min read

তিনি দেশের রাষ্ট্রপতি। অথচ ২০১৬ সালের ৮ নভেম্বর নোটবন্দী (Demonitisation) ঘোষণা করার আগে প্রধানমন্ত্রী তাঁর সঙ্গে কোনও শলা-পরামর্শই করেননি! তাঁর লেখা বই ‘দ্য প্রেসিডেন্সিয়াল ইয়ার্স – ২০১২-২০১৭’-এ এমনটাই লিখে গিয়েছেন প্রয়াত প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায় (Pranab Mukherjee)। সমালোচনা করেছেন নরেন্দ্র মোদীর সিদ্ধান্তেরও। যা নোটবন্দী ইস্যুতে নতুন করে অস্বস্তি বাড়াল মোদী এবং সরকারের।

প্রণববাবু লিখেছেন, ‘আমিও দেশবাসীর সঙ্গে একই সময়ে ঘটনার কথা জানতে পারি, যখন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী টেলিভিশনে জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দেন৷ এই ক্ষেত্রে বিরাট সমালোচনা হয়েছিল যে, এত বড় মাপের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার আগে আইন প্রণয়নকারী (সংসদ) এবং বিরোধী শিবিরের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর কথা বলা উচিত ছিল৷’ এখানে না থেমে নোটবন্দীর ব্যর্থতার দিকগুলিকেও তুলে ধরেছেন প্রয়াত প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি৷ তাঁর কথায়, ‘ভয় ভীতিহীন ভাবে একটা কথা নিঃসন্দেহে বলা যায়, সরকারের তরফে জানানো নোটবন্দীর বিবিধ উদ্দেশ্য একেবারেই সিদ্ধ হয়নি৷ এর মধ্যে আছে বিদেশ থেকে কালো টাকা ফিরিয়ে আনা, দেশে কালো টাকার ব্যবসা বন্ধ করা এবং গোটা সমাজকে ‘ক্যাশলেস’ করে তুলতে সহায়তা করা৷’

নোটবন্দিকে কেন্দ্র করে মোদী সরকারের সমালোচনার পাশাপাশি ২০১৪ লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের ভরাডুবি প্রসঙ্গে কংগ্রেস নেতৃত্বেরও তীব্র সমালোচনা করেছেন প্রণববাবু৷ ইউপিএ জোট সরকারে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধরে রাখতে না পারা যে বড় ব্যর্থতা তা খোলাখুলিই জানিয়েছেন তিনি৷ লিখেছেন, ‘আমি কেন্দ্রীয় সরকারের (ইউপিএ-২) অর্থমন্ত্রী হিসেবে কাজ চালিয়ে গেলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জোট সরকারে ধরে রাখতাম৷ কংগ্রেসের কয়েকজন নেতার নৈপুণ্য ও অহংকার দলের ভাগ্যকে আরও আঘাত করেছে৷ আমি বিশ্বাস করি যে সঙ্কটের সময়ে দলীয় নেতৃত্বকে আলাদা পদ্ধতির উদ্ভাবন করতে হবে৷’

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Pranab Mukherjee, #Demonitization

আরো দেখুন