কাল চাষিদের ট্র্যাক্টর মিছিল
যেখানে যাচ্ছেন, সেখানেই ঘেরাও, বিক্ষোভের মুখে পড়তে হচ্ছে। কৃষক আন্দোলনকারীরা (Farmers Protest) অনেক নেতার বাড়ি ঘেরাও করে বসে রয়েছেন। তিন কৃষি আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ শুরুর পর থেকে পঞ্জাবের বিজেপি নেতাদের জীবন কার্যত অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। এই প্রেক্ষিতে সেখানকার দুই দলীয় নেতা আজ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে বৈঠক করলেন। ৭ তারিখ কৃষকেরা ট্র্যাক্টর মিছিল করবেন।
গতকালও কৃষকদের সঙ্গে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের বৈঠকে সমাধানসূত্র না মেলায় ফের শুক্রবার বৈঠক ডাকা হয়েছে। তারই মধ্যে প্রধানমন্ত্রী আজ তাঁর বাড়িতে পঞ্জাবের দুই বিজেপি নেতা সুরজিত কুমার জিয়ানি ও হরজিত সিংহ গ্রেওয়ালের সঙ্গে প্রায় এক ঘণ্টার বেশি সময় ধরে বৈঠক করেছেন। তিন কৃষি বিল সংসদে পাশ করানোর আগে বিজেপি এ বিষয়ে পঞ্জাবের কৃষকদের সঙ্গে আলোচনা করতে একটি সমন্বয় কমিটি তৈরি করেছিল। জিয়ানি সেটির প্রধান এবং গ্রেওয়াল কমিটির সদস্য ছিলেন। সূত্রের খবর, বিজেপি নেতারা প্রধানমন্ত্রীর কাছে দ্রুত সমাধানসূত্র বের করারই আর্জি জানিয়েছেন।
পঞ্জাবের বিজেপি নেতা জিয়ানি বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী কৃষক নেতাদের থেকেও কৃষকদের অবস্থা সম্পর্কে বেশি চিন্তিত। এখন মনে হচ্ছে, এই আন্দোলনের রাশ কারও হাতে নেই।’’ আমদাবাদে আরএসএস-এর সম্মেলনেও স্বদেশি জাগরণ মঞ্চ ও ভারতীয় কিসান সঙ্ঘ নিজেদের বক্তব্য ও বিভিন্ন রাজ্যের কৃষকদের মতামত তুলে ধরবে। এ বিষয়ে বিজেপি নেতৃত্বকেও আরএসএস নিজেদের মত জানিয়ে দেবে।
সংযুক্ত কিসান মোর্চা সিদ্ধান্ত নিয়েছে, ৭ জানুয়ারি দিল্লিকে (Delhi) কেন্দ্র করে ওয়েস্টার্ন ও ইস্টার্ন পেরিফেরাল এক্সপ্রেসওয়েতে ট্র্যাক্টর মিছিল হবে। ৬ জানুয়ারি মিছিল হওয়ার কথা ছিল। বৃষ্টির পূর্বাভাসের কথা মাথায় রেখে তা এক দিন পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। দিল্লি থেকে উত্তর ভারতে যাওয়ার দুই প্রধান রাস্তায় বেলা ১১টা থেকে ট্র্যাক্টর মিছিল হলে গোটা দিল্লি ও তার আশেপাশে বিরাট যানজটের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। দিল্লির সীমানায় চারটি প্রতিবাদ স্থল থেকে ট্র্যাক্টর মিছিল রওনা হবে। কৃষক সংগঠনগুলির তরফে যোগেন্দ্র যাদবের বক্তব্য, এটা ২৬ জানুয়ারির ট্র্যাক্টর মিছিলের ‘ড্রেস রিহার্সাল’। বুধবার থেকে কৃষক সংগঠনগুলি গোটা দেশে ‘দেশ জাগরণ অভিযান’-এর ডাক দিয়ে কৃষি আইনের বিরুদ্ধে প্রচারেও নামবে।
কৃষক নেতাদের অভিযোগ, দিল্লির সীমানায় টিকরি-সিংঘুতে পুলিশ এখন খাবার ও অন্যান্য জরুরি পণ্যের জোগানে বাধা দিচ্ছে। শীতের সময় আগুন জ্বালানোর জন্য কাঠ আনতেও বাধা দেওয়া হচ্ছে। এ দিন চণ্ডীগড়ের পঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতিকে খোলা চিঠি লিখে কৃষকদের দুরবস্থায় হস্তক্ষেপের দাবি করেছে। আদালত পড়ুয়াদের আর্জি শুনতে রাজি হয়েছে।