একুশে তৃণমূলের প্রার্থী হতে পারেন ইন্দ্রানী হালদার?
ইন্দ্রানী হালদার – এই নামের সঙ্গে নতুন করে পরিচয়ের দরকার নেই বাঙালির। বিগত দুদশকের বেশি সময় ধরে সিনেমা ও সিরিয়ালের মাধ্যমে তিনি বাঙালির ঘরে ঘরে পরিচিত মুখ। সম্প্রতি শ্রীময়ী চরিত্রের জন্য তিনি জনপ্রিয়তার তুঙ্গে। বহুদিন আগেই তিনি তাঁর অভিনয়ের জন্য জিতেছেন জাতীয় পুরষ্কার। সম্প্রতি রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পের বিজ্ঞাপনেও দেখা গেছে তাঁকে।
২০১৭ সালের ২১শে জুলাইয়ের শহীদ মঞ্চে আনুষ্ঠানিকভাবে তৃণমূলে যোগ দিলেও তার বহু আগে থেকে তিনি প্রতি বছর নিয়ম করে ওইদিন শহীদ স্মরণে আসেন। ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনের আগে বড় দায়িত্ব দেওয়া হয় অভিনেত্রী ইন্দ্রানী হালদারকে। রাজ্যে তৃণমূল সুপ্রিমোর প্রচার শুরু আগের দিন তৃণমূলের সাংস্কৃতিক সেলের আহ্বায়ক করা হয় ইন্দ্রানী হালদারকে।
২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে তৎকালীন পুলিশ কমিশনারের বাংলোয় সিবিআই হানা দেওয়ায় ধর্নায় বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই ধর্না মঞ্চেও দেখা গিয়েছিল ইন্দ্রাণী হালদারকে (Indrani Haldar)।
অন্তিম লোকসভা নির্বাচনে দুর্গাপুরে বর্ধমান-দুর্গাপুর কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী মমতাজ সংঘমিতার সমর্থনে প্রচার করে ইন্দ্রানী। ভোটারদের কাছে অভিনেত্রীর আবেদন ছিল, ‘এই ভোট ভারতবর্ষের ভবিষ্যত গড়ার ভোট। কার হাতে তুলে দেবেন দেশের ভার? মোদি না দিদি? বাংলার ভালো করেছেন উনি এবার দেশের ভালো করতে দিদিকে ভোট দিতে হবে। বাংলার মানুষ মমতা বন্দোপাধ্যায়কে ভালোবাসে। তাকে চায়। উনি মানুষের এবং বাংলার বহু উন্নয়ন করেছেন। উনি যদি প্রধানমন্ত্রী হন তাহলে দেশের ভালো হবে। মোদি দেশের মানুষকে বোকা বানাচ্ছেন।’
২০২১ সালে তাঁর প্রার্থী ঘোষিত হওয়া এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা। রাজ্যের সাংস্কৃতিক কর্মী তথা অভিনেতা-অভিনেত্রীদের বেশিরভাগের সঙ্গেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) খুব ভাল সম্পর্ক। এবং এই ভালো সম্পর্ক আজ নয়। যখন তিনি বিরোধী নেত্রী ছিলেন, সেই সময় থেকেই তাঁর রাজনীতিতে অনুপ্রাণিত হয়ে অভিনয়ের পাশাপাশি রাজনীতিতে যোগ দেন পরলোকগত তাপস পাল। এরপর একে একে যোগ দিয়েছেন দেব, সন্ধ্যা রায়, মুনমুন সেন, মিমি, নুসরত, সোহম।