রহমানের জন্মদিনে শুনে নিন তাঁর কম জনপ্রিয় অথচ অসাধারণ গানগুলি
সংগীত পরিচালক কিংবা সুরকার মানেই পর্দার পেছনের মানুষ—তাঁর সৃষ্ট সুর সফল হলে সেই গান নিয়ে মাতামাতি হবে। কিন্তু সংগীত পরিচালক কিংবা সুরকার হয়েও যে রীতিমতো প্রথম সারির তারকা হওয়া যায়, আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ড হয়ে ওঠা যায়, তার প্রমাণ এ আর রহমান। চলচ্চিত্র জগতে তিনি তারকাদের তারকা।
নেপথ্যের মানুষ হয়েও এমন তারকাবাজি, এ আর রহমানের আগে কোনো ভারতীয় সংগীত পরিচালক করে দেখাতে পারেননি। তিনি হলিউডকে বাধ্য করেছেন বলিউড সম্পর্কে নাক সিঁটকানো মনোভাব ছাড়তে। তাঁকে দক্ষিণ ভারতের মানুষ ডাকে ‘দ্য মোৎসার্ট অব মাদ্রাজ’ নামে। রজনীকান্তের কাছাকাছি তাঁর জনপ্রিয়তা।
আজ ৬ জানুয়ারি সুরকার এ আর রহমানের জন্মদিন। আজ শুনে নিন তাঁর সুর করা তুলনামূলক কম জনপ্রিয় অথচ অসাধারণ এই গানগুলিঃ
চন্দ্রলেখা – থিরুদা থিরুদা (১৯৯৩)
মণি রত্নমের ‘বাচ ক্যাসিডি অ্যান্ড দ্য সানডান্স কিড’ থেকে গৃহীত এক অসাধারণ ডান্স নাম্বার। সময়ের থেকে অনেক এগিয়ে ছিল এই গানের সুর। গেয়েছেন অনুপমা এবং সুরেশ পিটার।
স্পিরিট অফ রঙ্গিলা – রঙ্গিলা (১৯৯৫)
এই অ্যালবামের টাইটেল ট্র্যাকটির সুর করেছিলেন আল্লারাখা রহমান। বাদ্যযন্ত্রে শিবা মনি।
মিল গায়ে- লাভ বার্ডস (১৯৯৬)
হরিহরন এবং রহমানের এক অসাধারণ যৌথ কাজ।
ধিমি ধিমি- ১৯৪৭ আর্থ (১৯৯৮)
দীপা মেহতার এই পার্টিশন সাগায় অভিনয় করেছেন আমির খান, রাহুল খান্না এবং নন্দিতা দাস। ছবিটির আসল তারকা এ আর রহমানের গান। তাঁর সমস্ত সমালোচকের মুখ বন্ধ করে দেখিয়ে দিয়েছিলেন যে তিনি সব ধরণের গান করতে পারেন। হরিহরনের গলার যাদু গানটিকে আরো ওপরে তুলে দিয়েছিল।
খিলি চাঁদনি- ইন্দিরা (১৯৯৮)
হরিহরন আর রহমানের যাদু শ্রোতারা আরো একবার শুনতে পান এই গানে। হরিহরনের গলায় গানটি শুনতে একদম গজলের মতো লাগে।
নেহি সামনে – তাল (১৯৯৯)
অক্ষয় খান্না, অনিল কাপুর ও ঐশর্য্য রাই অভিনীত সুভাষ ঘাইয়ের এই ছবিটির গানটি প্রকৃত অর্থেই রহমানের সেই দশকের সেরা কাজ ছিল। পশ্চিমি অর্কেস্ট্রা দিয়ে গানটিকে সুরের যাদুকর করে তুলেছিলেন কাল্ট ক্লাসিক। গানটি যৌথভাবে গেয়েছেন হরিহরন এবং সুখবিন্দর সিং।
এক তু হি ভারোসা- পুকার (২০০০)
রাজকুমার সান্তোষীর এই সিনেমায় রহমানের কে সারা সারা গানে মাধুরী এবং প্রভুদেবার নাচে মুগ্ধ হয়েছেন দর্শক। এই গানটি শুরুর দিকে ‘লাইম লাইট’- এ না আসলেও ছিল এক অসাধারণ গান। পরে তা দর্শকও বুঝেছিলেন। গেয়েছেন ‘নাইটিঙ্গল অফ ইন্ডিয়া’ লতা মঙ্গেশকর।
ম্যায় আলবেলি – যুবেইদা (২০০১)
এই গানে সুন্দর ফ্ল্যামেনকো এবং জিপসি প্রভাব ছিল। এটি রহমানের অন্যতম আন্তর্জাতিক মানের কাজ। গানটি গেয়েছেন কবিতা কৃষ্ণমূর্তি।
সারফারোসি কি তামান্না – দ্য লিজেন্ড অফ ভগৎ সিং (২০০১)
সিনেমাটি টিকে ছিল একমাত্র রাজকুমার সন্তোষীর মুচমুচে সংলাপ এবং রহমানের দুর্দান্ত গানের জন্য। সেই সময়ের প্রেক্ষাপটের হলেও গানটিকে রহমান সমসাময়িক করে তুলতে সক্ষম হন। গেয়েছেন চিরকালীন সোনু নিগম।
দেখো না – স্বদেশ (২০০৫)
আজ অবধি শাহরুখ খানের সেরা ছবিগুলির মধ্যে অন্যতম ছবি। যা ওম শান্তি ওম বা হ্যাপি নিউ ইয়ারের মতো শ্রোতা পায়নি। কিন্তু তাতে রহমানের গানের ঔজ্জ্বল্যে একটুও ভাটা পড়েনি। গানটি গেয়েছেন আলকা আগনিক এবং উদিত নারায়ণ।