বিজেপি ক্ষমতায় এলে মহিলারা বাড়ি থেকে বেরোতে পারবেন না, আশঙ্কা ব্রাত্যর
বিজেপি (BJP) ক্ষমতায় এলে মহিলারা বাড়ি থেকে বেরোতে পারবেন না, বুধবার এমনই মন্তব্য করলেন রাজ্যের মন্ত্রী ব্রাত্য বসু (Bratya Basu)। বুধবার পূর্ব বর্ধমানের কুড়মুনের মাঠে তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে জনসভার আয়োজন করা হয়। সেই সভায় বিজেপির বিরুদ্ধে সুর চড়ান ব্রাত্য বসু। তিনি বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্য মহিলারা ক্ষমতা পেয়েছেন। আর বিজেপি দলিত, হিন্দু, সংখ্যালঘু, নারী বিরোধী দল। ওরা ক্ষমতায় এলে মহিলারা বাড়ি থেকে বেরোতে পারবেন না।’
কুড়মুনের জনসভা থেকে মন্ত্রী ব্রাত্য বসু আরও বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ১০ বছরের শাসনকালে রাজ্যে ৬৪টি প্রকল্প চালু হয়েছে। দশ কোটি মানুষ কোনও না কোনও প্রকল্পের সুবিধা পাচ্ছেন। দলত্যাগীদের নাম না করে ব্রাত্য বসু বলেন, ‘আমাদের কিছু লোকজন ওঁদের দিকে চলে যাচ্ছেন। ওঁরা বলেছিল, একশোজন যাবেন। তবে আমি গুণে গুণে দেখলাম মাত্র পাঁচ জন গিয়েছেন। আর না হয় দু’একজন যাবেন। তাতে তৃণমূল কংগ্রেসের কিছু যায় আসে না।’
রাজ্যের অপর মন্ত্রী তথা তৃণমূলের পূর্ব বর্ধমান জেলা সভাপতি স্বপন দেবনাথ জনসভায় বক্তব্য রাখতে উঠে বলেন, ‘কৃষক স্বার্থে রাজ্য সরকার কিছুই করেনি বলে বিরোধীরা যেসব কথা বলছে, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।’ স্বপনবাবু দাবি করেন, শুধুমাত্র পূর্ব বর্ধমানেই পাঁচ লক্ষের বেশি চাষি ‘কৃষক বন্ধু’ পেয়েছেন। বাংলার কৃষকরা ফসলের ক্ষতিপূরণও পান।
কুড়মুনের জনসভায় রাজ্যের দুই মন্ত্রী যখন বিজেপি বিরোধিতায় সরব, ঠিক সেই সময়েই কালনার তালবোনায় আয়োজিত বিজেপির সভায় যোগ দিয়ে শাসক দলের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন তৃণমূলত্যাগী সাংসদ সুনীল মণ্ডল। তালবোনার সভায় তিনি বলেন, ‘বিজেপি কর্মীদের গায়ে যদি কারও হাত পড়ে, তাহলে শুধু ওঁদের ছবিটা তুলে রাখুন। পরে ওঁদের গাছে টাঙিয়ে দেব।’
সুনীল মণ্ডলের এমন বক্তব্য প্রসঙ্গে তৃণমূলের রাজ্য মুখপাত্র দেবু টুডু বলেন, ‘গদ্দাররা এখন অনেক বড় বড় কথা বলছেন। আসলে ওঁরা যে দলে গিয়েছেন, সেটা দাঙ্গাবাজ, বর্বরদের দল। সেখানে গিয়ে গদ্দাররা হিংসার কথা বলে ওঁদের বড় নেতাদের মন পেতে চাইছেন। তবে রাজ্যের মানুষ ওঁদের যোগ্য জবাব দেওয়ার জন্য তৈরি।’