পৌষ সঙ্ক্রান্তির উৎসবে মোদী- মমতার ঘুড়ি যুদ্ধের প্রস্তুতি
বিধানসভা ভোটের এখনও প্রায় চার মাস দেরি। তবুও এখন থেকেই জমে উঠেছে রাজনৈতিক তরজা। সারা রাজ্যের সঙ্গে এই জেলাতেও মিছিল, মিটিং সহ নানা রাজনৈতিক কর্মসূচি শুরু হয়ে গিয়েছে। এরমধ্যে অবশ্য মেদিনীপুরে (Midnapore) শুরু হয়েছে আর এক লড়াইয়ের প্রস্তুতি। ‘মোদি’, ‘মমতা’র আকাশযুদ্ধের প্রস্তুতি। এর সঙ্গে অবশ্য রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই। আর ক’দিন পরেই মেদিনীপুরের আকাশে ভোকাট্টার লড়াইয়ে মুখোমুখি হবে মমতা ঘুড়ি (Kite) ও আর মোদি ঘুড়ি। পেটকাটা, চাঁদিয়াল, সতরঞ্চি আর নানা রকম কার্টুনের মাঝে আকাশে জায়গা করে নেবে মমতার মা মাটি মানুষ এবং মোদির পদ্মফুল। কেউ মাথা তুলে উড়ে চলবে। আবার কেউ ভোকাট্টা হয়ে ভেসে গিয়ে পড়বে কোনও মাঠে, ঘাটে।
পৌষ মাসের সংক্রান্তির দিন ও তার আগের দিন মেদিনীপুরের আকাশে চলে ঘুড়ি ওড়ানোর লড়াই। সারা পৌষ মাস ধরেই চলে। তবে এই দু’দিন সবচেয়ে বেশি ঘুড়ি ওড়ে আকাশে। বরাম পুজোয় মাতে পুরনো মেদিনীপুরের বাসিন্দারা। অবশ্য ঘুড়ি ওড়ানোর চল এখন অনেকটাই কমে গিয়েছে। তবে পুরনো পাড়া খাপ্রেলবাজার, হবিবপুর, সিপাইবাজার, বড় আস্তানা, কুইকোঠা, বড়বাজার, পাটনাবাজার, বক্সিবাজার, বল্লভপুর, নতুনবাজার, স্কুলবাজার, ছোটবাজার, জগন্নাথমন্দির চক এলাকায় এখনও ঘুড়ি ওড়ানোর চল আছে। এখন থেকেই ঘুড়ি উড়তে শুরু করেছে আকাশে।
বিশেষ করে ওই দু’দিন এইসব এলাকায় উৎসবের মেজাজে ঘুড়ি ওড়ে। চলে ভোকাট্টার প্রতিযোগিতা। রীতিমতো মাইক বাজিয়ে একে অপরের উদ্দেশে প্রতিযোগিতায় নামার ডাক দেন। মাইকেই গানের মাঝে মাঝে চলে ভোকাট্টার আওয়াজ।
এবার এই লড়াইয়ে জায়গা করে নিচ্ছে ‘মোদি’ আর ‘মমতা’। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখের ছবি দেওয়া ঘুড়ির পাশাপাশি নরেন্দ্র মোদির মুখের ছবি দেওয়া ঘুড়ি দেদার বিক্রি হচ্ছে মেদিনীপুরের বাজারে। মমতার ছবি দেওয়া ঘুড়িতে লেখা আছে, মা মাটি মানুষ। আর মোদির মুখের ছবি দেওয়া ঘুড়িতে লেখা আছে, বিজেপি। প্লাস্টিকের এই ঘুড়ির দাম পাঁচ টাকা। বিক্রেতারা বলছেন, যা ঘুড়ি ছিল প্রায় সব বিক্রি হয়ে গিয়েছে। কয়েকটি মাত্র পড়ে আছে। তার সঙ্গে অবশ্য কার্টুনের ছবি দেওয়া ঘুড়ির বিক্রিও ভালো হচ্ছে।