রাজ্য বিভাগে ফিরে যান

১৮৩ কোটিতে দামোদর নদীর বাঁধ সংস্কার

January 8, 2021 | 2 min read

১৮৩ কোটি টাকায় দামোদর নদীর বাঁধ (Damodar River Dam) সংস্কারের কাজ চলছে। শুধু মাটি দিয়ে নয়, এবার কংক্রিটে বাঁধানো হচ্ছে নদীর পাড়। ২০২২-এর জুন মাসে এই কাজ শেষ হবে বলে আশাবাদী সেচদপ্তরের আধিকারিকরা। সংস্কারের কাজ শেষ হলে হুগলি জেলার জাঙ্গিপাড়া, তারকেশ্বর, ধনেখালি ও পূর্ব বর্ধমান জেলার জামালপুর ব্লকের একাংশের দামোদর তীরবর্তী বাসিন্দারা উপকৃত হবেন।

ফি বছর বর্ষায় দামোদরের জলে বানভাসি হয় হুগলি, হাওড়া এবং পূর্ব বর্ধমান জেলার একাংশ। ঘরছাড়া হন কয়েক হাজার বাসিন্দা। জাঙ্গিপাড়া ব্লকের আকনা, সেনপুর, ছিটঘোলা সহ বেশ কয়েকটি গ্রাম প্রায় প্রতিবছর বর্ষায় দামোদরের জল ঢুকে প্লাবিত হয়। জাঙ্গিপাড়া ব্লকের ১৫টি মৌজায় প্রায় ২০ হাজার হেক্টর জমির ফসলও নষ্ট হয়। জাঙ্গিপাড়া পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তমালশোভন চন্দ্র বলেন, প্রায় প্রতি বছর কয়েকশো পরিবার বর্ষার সময় ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় নেয়। নদী বাঁধ ভেঙে যাওয়ার আশঙ্কায় রাত জেগে পাহারা দিতে হয়। জেনারেটর সহ নদী বাঁধে আলো দিয়ে পালা করে চলে নজরদারি। বন্যার সময় তিন দিনে ১০-১২ লাখ টাকা খরচ হয়। তাই কংক্রিটের মজবুত বাঁধ নির্মাণ হলে একদিকে যেমন রাজ্য সরকারের ত্রাণের খরচ বাঁচবে, অন্যদিকে বানভাসি হওয়ার আশঙ্কা থেকে রক্ষা পাবে গ্রামের মানুষ।

তারকেশ্বর ব্লকের (Tarakeshwar Block) কেশবচক পঞ্চায়েতের নছিপুর ও তালপুর, সন্তোষপুর পঞ্চায়েত এলাকা একইভাবে বানভাসি হয় ফি বছর। হাজার হাজার হেক্টর জমির ফসল নষ্ট হয়। ধনেখালি ব্লকের চৈতন্যবাটি ও পূর্ব বর্ধমান জেলার জামালপুর ব্লকও বর্ষায় দামোদরের প্রকোপে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

দামোদরের এই বাঁধ সংস্কারের সুফল মানুষ ২০২২-এর বর্ষায় পাবে বলে জানালেন সেচদপ্তরের এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার যীশু দত্ত। তিনি বলেন, হুগলি ও পূর্ব বর্ধমান জেলার একাংশ মিলিয়ে ৩৯.২ কিলোমিটার বাঁধ সংস্কার হচ্ছে। কোভিড পরিস্থিতিতে কাজের গতি কিছুটা কম ছিল। বর্তমানে তা স্বাভাবিক হয়েছে। নদীর দিকে বাঁধের অংশে শিট পাইল দিয়ে কংক্রিটে মোড়া হচ্ছে। এছাড়া নদীর দিকে বাঁধের ঢাল বোল্ডার দিয়ে বাঁধানো হবে। উল্টো দিকে বাঁধের দুর্বল অংশ মেরামতের কাজ চলছে। দুই বছর পর এইসব এলাকা বন্যার প্রকোপ থেকে রক্ষা পাবে।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#West Bengal, #Damodar river dam

আরো দেখুন