কল্যাণী এইমসে আউটডোর খুলছে শুরু এ মাস থেকেই
দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান। এ মাসেই চালু হতে চলেছে নদিয়ার কল্যাণীর অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্সেস (AIIMS)-এর বহির্বিভাগ। আপাতত ছোট আকারে হলেও এই মাসেই বহির্বিভাগ চালু করা যাবে বলে আশাবাদী এইমস কর্তৃপক্ষ। আর আগামী এপ্রিলে বহির্বিভাগ সম্পূর্ণভাবে চালু হয়ে যাবে। অন্তর্বিভাগ অর্থাৎ রোগী ভরতির প্রক্রিয়া শুরু হতে পারে সেপ্টেম্বর মাস থেকে। স্বভাবতই শুধু রাজ্যবাসীর কাছেই নয়, আশপাশের অন্য রাজ্যের মানুষের কাছেও এটা অত্যন্ত সুখবর।
বৃহস্পতিবার কল্যাণী এইমসের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর রামজি সিং জানিয়েছেন, ”আমরা চাইছি, এই মাসেই ছোট আকারে হলেও বহির্বিভাগ চালু করে দিতে। যদিও ঠিক কবে থেকে বহির্বিভাগ চালু করা হচ্ছে, তা কিন্তু এখনও পর্যন্ত ঠিক করা হয়নি। কারণ, কিছু প্রস্তুতি এখনও বাকি। তবে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সেসব কাজ সম্পন্ন করার চেষ্টা আমরা করছি। যদি হয়ে যায়, তাহলেই তারিখ ঘোষণা করে দেওয়া হবে।” সুতরাং, কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত যে এ বিষয়ে খুব নিশ্চিতভাবে কিছু বলা যাবে না, ডিরেক্টরের কথাতেই তা স্পষ্ট।
২০১৫ সালের ৭ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্য সুরক্ষা যোজনায় কেন্দ্রীয় সরকার বাংলায় এইমস তৈরির অনুমোদন দেয়। যদিও কোথায় তা তৈরি হবে, সেই প্রশ্ন উঠতেই অধিকাংশের মত ছিল, ডা: বিধানচন্দ্র রায়ের স্বপ্নের নগরী কল্যাণীতেই তৈরি হোক এইমস। আরেকপক্ষ অবশ্য উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জে এইমস করার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা চালিয়ে যান। কল্যাণী না রায়গঞ্জ? তা নিয়ে রাজনৈতিক দড়ি টানাটানির খেলায় অবশেষে জয় হয় কল্যাণীরই। শুরু হয়ে যায় কল্যাণীতে এইমস তৈরির জন্য জমির খোঁজ। কল্যাণীর বসন্তপুরে মোট ১৭৯.৬ একর জমিতে এইমস তৈরির সরকারি সিলমোহর পড়ে। এ বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিশেষ উদ্যোগে শুরু হয়ে যায় এইমসের ভবন তৈরির কাজ। মোট ১২০০ কোটি টাকা ব্যয়ে এইমসের ভবন তৈরির কাজ বর্তমানে দ্রুতগতিতে চলছে।
যদিও করোনা পরিস্থিতিতে লকডাউনের সময় কাজে কিছুটা হলেও ব্যাঘাত ঘটেছে। আপাতত ৯৬০ টি শয্যার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে নবনির্মিত এইমসের। ভবনের কাজ অনেকটাই এগিয়ে যাওয়ায় নতুন বছরের প্রথম মাসেই ছোট আকারে হলেও বহির্বিভাগ চালু করার উদ্যোগ নিয়েছে এইমস কর্তৃপক্ষ। আর সেপ্টেম্বর মাসে অন্তর্বিভাগ অর্থাৎ রোগী ভরতির প্রক্রিয়া শুরু করে দিতে চাইছেন তাঁরা। তবে এইমস কর্তাদের লক্ষ্য, এপ্রিল মাসে বহির্বিভাগ সম্পূর্ণরূপে চালু করা।
এই বিষয়ে কল্যাণী এইমসের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর রামজি সিং জানিয়েছেন, ”এপ্রিল মাসের মধ্যেই বহির্বিভাগ সম্পূর্ণভাবে চালু করে দেওয়ার চেষ্টা করছি আমরা। তবে তার আগে এই মাসেই ছোট আকারে হলেও বহির্বিভাগ চালু করতে আমরা চাইছি। ভবনের কাজ পুরো সম্পন্ন হতে এ বছর পুরোটাই লেগে যাবে বলে মনে হচ্ছে। তবে তার আগে সেপ্টেম্বর মাসে ভবনের কিছু অংশে রোগী ভরতি করা শুরু করা হবে।” বহির্বিভাগ ও অন্তর্বিভাগ চালু করার জন্য ভবন নির্মাণের পাশাপাশি অন্যান্য প্রয়োজনীয় কাজও চলছে।