নন্দীগ্রামের সভায় দিলীপ-শুভেন্দু গোষ্ঠীর কোন্দল, তুলকালাম
মঞ্চে তখন শাসকদলের বিরুদ্ধে তোপ দাগছেন কৈলাস বিজয়বর্গীয় (Kailash Vijayvargiya)। কীভাবে কেন্দ্র-রাজ্য সংঘাতের জন্য কৃষকদের বিভিন্ন সুবিধা থেকে বঞ্চিত হতে হয়েছে, সেই পরিসংখ্যানই তুলে ধরছিলেন তিনি। কিন্তু মন্তব্যে হঠাৎই তাল কাটে। সভায় উপস্থিত আম জনতা হঠাৎই নিজেদের জায়গা ছেড়ে উঠে পড়েন। চারদিক থেকে গন্ডগোলের আওয়াজ ভেসে আসে।
এদিন বক্তব্য চলাকালীন আচমকা বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়। আম জনতাকে বিচলিত হতে দেখে প্রথমে খানিকটা অবাকই হয় কৈলাস বিজয়বর্গীয়। ঠিক কী হল, তা বুঝে উঠতে পারছিলেন না তিনি। বিজেপি (BJP) নেতা মঞ্চে দাঁড়িয়েই প্রশ্ন করতে থাকেন কী হয়েছে? ঠিক সেই সময়ই এগিয়ে আসেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। গন্ডগোলের কারণ তখনও স্পষ্ট হয়নি। মাইকে ক্রমাগত জনতার উদ্দেশে বলা হয়, ‘কিছু হয়নি। শান্ত হয়ে বসুন।’ স্লোগানে গলা মেলানোর আহ্বানও জানানো হয়। কিন্তু বিশৃঙ্খলা যে তখনও থামেনি, তা ঝিমিয়ে পড়া আওয়াজেই স্পষ্ট হয়ে যায়।
কিন্তু ঠিক কী হয়েছিল সে সময় জনসভায়? জানা গিয়েছে, বসা নিয়ে নিজেদের মধ্যে ঝামেলায় জড়িয়ে পড়েছিলেন অনেকে। সেখান থেকই বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়। শোনা যাচ্ছে তারা দিলীপ এবং শুভেন্দু গোষ্ঠীর। বিজেপির দাবি, ইচ্ছাকৃতভাবেই এই বিরাট জনসভা ভণ্ডুল করার চেষ্টা করা হয়েছে। ভয় পেয়েই তৃণমূল এসব করছে বলেও তোপ দাগেন গেরুয়া শিবিরের নেতারা। সত্যি কি তাই, উঠছে প্রশ্ন।