রাজ্যে টানা ৬ দিন আক্রান্তের সংখ্যা হাজারের নীচে, স্বস্তি সুস্থতায়
দুর্গাপুজো, লোকাল ট্রেন চালু হওয়া, অফিস-কাছারি খোলা, ব্যবসা-বাণিজ্যে গতি আসা, বড়দিন পালন, নতুন বছর উদযাপন— আনলক পর্বে করোনার মধ্যেও জীবনের জয়গান অব্যাহত। কিছুটা হলেও মানুষের করোনা বিধি মেনে চলা, রাজ্য সরকারের লাগাতার প্রচার, লক্ষ লক্ষ মানুষ আক্রান্ত হওয়ার দরুণ হার্ড ইমিউনিটি তৈরি হওয়া সহ নানা কারণে নতুন বছরে করোনার বিদায় আসন্ন। এমনটাই মনে করছেন চিকিৎসক ও বিজ্ঞানীরা। সাম্প্রতিক সরকারি পরিসংখ্যানও সেই মতকেই সমর্থন জোগাচ্ছে। রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের পরিসংখ্যান বলছে, দৈনিক করোনা (Covid 19) আক্রান্ত এখন নেমে এসেছে হাজারের নীচে। তাও সেটা এক বা দু’দিনের জন্য নয়, পর পর টানা ছয়দিন! ২ জানুয়ারি থেকে ৭ জানুয়ারি।
করোনা টিকাকরণের (Covid Vaccine) আগে শুক্রবার দেশজুড়ে দ্বিতীয় ও চূড়ান্ত পর্যায়ের প্রস্তুতি বা ড্রাই রান হল সফলভাবে। প্রতিটি জেলার তিনটি করে হাসপাতাল ও কলকাতার পাঁচটি মেডিক্যাল কলেজ ও একটি পুর স্বাস্থ্যকেন্দ্রে সকাল থেকেই চলে ভ্যাকসিন দেওয়ার মহড়া। কলকাতায় পিজি’র ‘ড্রাই রান’-ই সবচেয়ে বেশি মুগ্ধ করেছে স্বাস্থ্যকর্তাদের। হুগলিতে চুঁচুড়ার ইমামবাড়া হাসপাতাল, হুগলির বাঁশবেড়িয়া পুরসভা ও পোলবা হাসপাতালে এদিন ভ্যাকসিনের ‘ড্রাই রান’ হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক শুভ্রাংশু চক্রবর্তী। অন্যদিকে, হাওড়ায় জেলা হাসপাতাল, একটি পুর স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও সাঁকরাইল স্বাস্থ্যকেন্দ্রে এদিন ‘ড্রাই রান’ হয়েছে। তিনটি জায়গাতেই গিয়েছিলেন জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ভবানী দাস। এদিন বারাসত জেলা হাসপাতাল এবং বারাকপুর মহকুমার তিন জায়গায় করোনা ভ্যাকসিনের ‘ড্রাই রান’ সম্পন্ন হয়েছে। বারাসত হাসপাতালে জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক তাপসকুমার রায়, হাসপাতালের সুপার সুব্রত মণ্ডল সহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন। একইসঙ্গে উত্তর বারাকপুর পুরসভার মণিরামপুর স্বাস্থ্যকেন্দ্রে, হালিশহর পুরসভার এনইউএলএম বিল্ডিংয়ে এবং বারাকপুর ১নং ব্লকের বীজপুরে ‘ড্রাই রান’ করা হয়। রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা যে ক্রমশ নিম্নমুখী, তা সরকারি পরিসংখ্যানেই স্পষ্ট। ২ জানুয়ারি রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা হাজারের নীচে নেমে হয় ৮৬৩। ৩ জানুয়ারি ৮৯৬ জন, ৪ জানুয়ারি তা আরও নেমে হয় ৫৯৭। ৫ জানুয়ারি একটু বেড়ে হয়েছে ৮১২। ৬ জানুয়ারি রাজ্যে আক্রান্ত হন ৮৬৮ জন। ৭ জানুয়ারি রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৯১২।