বিলাসবহুল ক্রুজে ঘুরে আসুন গঙ্গাসাগর
বাঙালির পায়ের তলায় না কী সর্ষে। এক-আধবেলা ছুটি মিললেও বেড়ানো, আউটিংয়ের পুরোদস্তুর প্ল্যানিং সারা আম বাঙালির। কিন্তু ছুটিটারই যে বড় আকাল আজকাল। পরিবার-বন্ধুদের সবাইকে একসঙ্গে দুটো দিন পাওয়াটাই এখন বড় ব্যাপার। আর দীঘা-পুরী করতে করতে তো হেজে গিয়েছে। নতুন কোথাও যেতে আবার অন্তরায় সময় আর খরচ। তাহলে? ঘাবড়ানোর কিছু নেই। সব সমস্যার সমাধান এবার একযোগে।
গত বছর মার্চ মাসে চালু হয় মিলেনিয়াম ঘাট থেকে গঙ্গাসাগর ও সুন্দরবন অবধি ক্রুজ সার্ভিস। গঙ্গার কোল বেয়ে ঘন্টা তিনেকের মধ্যেই পৌঁছে যাওয়া ছুটির গন্তব্যে। হাতে সময় থাকলে দুদিন কাটিয়ে আসুন কপিল মুণির আশ্রম কিংবা ঝড়খালি, সন্দেশখালিতে। আর ছুটির মেয়াদ ছোট হলে টুকটাক আউটিং সেরে শীততাপ নিয়ন্ত্রিত ক্রুজে চেপেই গঙ্গাপাড়ের সৌন্দর্য চেটেপুটে নিয়ে ফিরে আসুন বাঁধা ঠিকানায়।
চাইলে হাতের নাগালে পেয়ে যেতে পারেন মুচমুচে পকোড়া, ফ্রাই আর ধোঁয়া ওঠা কফি। মন চাইলে ক্রুজের ডেকে বসেই গায়ে মেখে নিন পড়ন্ত সূর্ষের ঢলে পড়া হালকা রোদ্দুর। মন তাজা। মেজাজ চাঙ্গা।মুম্বই বেসড অসপ্রে ওয়াটরওয়েজের সৌজন্যে শুক্রবার থেকেই শুরু হয়েছে কলকাতা-সুন্দরবন-সাগর ক্রুজ সার্ভিস। ফার্স্ট রাইডেই বাম্পার ডিট শহর থেকে গঙ্গাসাগরের ক্রুজ ভ্রমণ।
ওসপ্রে ইন্ডিয়ার ওয়েবসাইটে গিয়ে অনলাইন বুকিং করতে পারেন। আবার মিলেনিয়াম ঘাটে এসে টিকিট কেটেও উঠে পড়তে পারেন মালয়েশিয়া থেকে আনা বিলাসবহুল ক্রুজে। খরচ সামান্যই। মাথা পিছু হাজার টাকা। বিনিময়ে জলপথ বেয়ে নির্ঝঞ্ঝাটে ঘন্টা তিনেকের মধ্য পৌঁছে যাওয়া যাবে ছুটির গন্তব্যে।
মিলেনিয়াম ঘাট থেকে ক্রুজ ছাড়ে সকাল ৯টায়। তার আগে পৌঁছে গেলেই হল। আসনসংখ্যাও নেহাত কম নয়। কমবেশি দেড়শোর ওপর।