কলকাতা বিভাগে ফিরে যান

অত্যাধুনিক ‘পক্ষী-রাজ্য’ তৈরিতে উদ্যোগী হিডকো

January 10, 2021 | 2 min read

রাজারহাট (Rajarhat) এলাকায় বিভিন্ন প্রজাতির পাখির আনাগোনা বহুদিনের। তবে কোন প্রজাতি বছরের কোন সময়ে ভিড় জমাচ্ছে কিংবা তাঁদের লালনপালনের বিষয়টি ছিল অজানা। কারণ পর্যবেক্ষণের কোনও উদ্যোগই ছিল না এতদিন। এবার উন্নত প্রযুক্তির সাহায্যে নতুনভাবে সংস্কার করা হয়েছে ইকো পার্কের পাখিবিতান (Pakhibitan Wildlife Sanctuary)। সৌজন্যে হিডকো (HIDCO) কর্তৃপক্ষ। তাদের সহযোগী  হয়েছে বিশেষ টেকনিক্যাল টিম। সেখানে পাখিদের পছন্দসই এবং উপযোগী পরিবেশ গড়ে তোলা হয়েছে। বসানো হয়েছে কৃত্রিম পাখির বাসা, জলাশয়, ওয়াচ কেবিন, বার্ড ওয়াক প্রভৃতি। 

নিউটাউনের ইকো পার্কের ভিতরে গল্ফ এরিনার কাছেই অবস্থিত পাখিবিতান। উদ্বোধন করা হয় ২০১৬ সালের জানুয়ারি মাসে। তবে প্রাথমিক পর্যায়ে সেখানে বার্ষিক কত পাখির যাতায়াত হচ্ছে, তা সঠিকভাবে পর্যবেক্ষণ করা সম্ভব হয়নি। সেকারণেই সাহায্য নেওয়া হয় প্রযুক্তির। সংস্কারের পর গত ২৭ ডিসেম্বর পুনরায় উদ্বোধন করা হয়েছে পাখিবিতানের। সেখানে রয়েছে বিভিন্ন প্রজাতির পাখির বাসযোগ্য পরিবেশ। 
পাখিবিতানের দায়িত্বে থাকা অর্জন বসু রায় জানিয়েছেন, গোটা চত্ত্বরে মোট ৫০ টি কৃত্রিম পাখির বাসা তৈরি করা হয়েছে। যাতে পাখিরা সেখানে এসে নিশ্চিন্তে থাকতে পারে। জানা গিয়েছে, বাঁশের তৈরি একটি পুল তৈরি করা হয়েছে। তাতে হাঁটার সময় দেখা যাবে দেশ-বিদেশের পাখি। বেশ কিছু পাখির জন্য  জলাশয় করা হয়েছে। সেখানে মাছও ছাড়া হয়েছে। যে সমস্ত পাখি মাছ এবং জলের বিভিন্ন পোকা খেতে ভালোবাসে তাদের জন্যই এই ব্যবস্থা।

ইকো পার্কের এই ‘পক্ষী-রাজ্য’-এ সমস্ত অত্যাধুনিক ব্যবস্থা ঠাসা। একই সঙ্গে সেখানে পাখিদের নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করার জন্য মনিটরিংও চলছে। তার মাধ্যমে বছরের কোন সময়ে কোন কোন প্রজাতি সেখানে আসছে তা বোঝা যাবে। কর্তৃপক্ষের দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত পাখিবিতানে মোট ১৩৩ টি প্রজাতির পাখি এসেছে। ২০১৯ সংখ্যাটা ছিল ৮৭। নিয়মিত পর্যবেক্ষণের জন্যই এই পরিসংখ্যান প্রায় নির্ভুলভাবে পাওয়া সম্ভব হয়েছে। আগামী দিনে আরও পরিযায়ী পাখি সেখানে আসবে বলে মনে করছে কর্তৃপক্ষ। তাই জন্য বড় বড় ঘাস দিয়ে পাখির বাসযোগ্য স্থান তৈরি করা হয়েছে। তাতে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে শস্যদানা। 

হিডকো চেয়ারম্যান দেবাশিস সেন জানান, সাধারণ মানুষ অনেকদিদন ধরে ইকো পার্কে পাখিবিতানের দাবি জানাচ্ছিলেন। তাই এই উদ্যোগ। তবে পাখিবিতানে সাধারণ মানুষ অবাধে প্রবেশ করতে পারবেন না বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। পাখিদের স্বভাবের কথা মাথায় রেখেইে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সূত্রের খবর, ভোর বেলা পাখিবিতানের ভিতরে সীমিত সংখায় পর্যটকদের প্রবেশ করার অনুমতি দেওয়া হবে। তবে তার জন্য আগে থেকে অনুমতি নিতে হবে বলে জানা গিয়েছে। সেই অনুমতির আবেদন অনলাইনেও করা যেতে পারে বলে পরিকল্পনা রয়েছে হিডকোর।     

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#HIDCO, #bird sanctuary

আরো দেখুন