বিশ্বভারতীতেই ব্রাত্য বাংলা?
এ বার সাইনবোর্ড বিতর্কে বিশ্বভারতী (Visva Bharati )। বিশ্বভারতীর কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার, রতনপল্লির নবনির্মিত মার্কেট এবং মৃণালিনী আনন্দ পাঠশালার সামনে কিছুদিন আগেই তিনটি নতুন সাইনবোর্ড লাগিয়েছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ।
এর মধ্যে গ্রন্থাগার ও রতনপল্লির সাইনবোর্ডে বানান বিভ্রাট এবং মৃণালিনী আনন্দ পাঠশালার সামনের সাইনবোর্ডে হিন্দি আগ্রাসনের অভিযোগ তুলে সমাজমাধ্যমে সরব হয়েছেন বিশ্বভারতীর পড়ুয়া ও প্রাক্তনীদের একাংশ। মৃণালিনী আনন্দ পাঠশালার সামনে সম্প্রতি একটি নতুন সাইনবোর্ড লাগানো হয়েছে, যেখানে বাংলা, হিন্দি ও ইংরেজি তিনটি ভাষাতেই জায়গাটির পরিচয় দেওয়া হয়েছে। তবে শুধুমাত্র হিন্দি ভাষাতেই মৃণালিনী আনন্দ পাঠশালার নামোল্লেখ আছে। অন্য দুই ভাষায় তা নেই। এই বোর্ডের ছবি ছড়িয়ে পড়তেই সমাজমাধ্যমে প্রশ্ন উঠেছে তা কি ভুল না ইচ্ছাকৃত?
অন্য দিকে, গত ২০ ডিসেম্বর কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের (Amit Shah) বিশ্বভারতী সফরের দিন সেদিনই কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনের রাস্তাটির নামকরণ করা হয় ‘বিবেকানন্দ সরণি’। কিন্তু কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে যে সাইনবোর্ডটি (Signboard) লাগানো হয়েছে, সেখানে একটি বাংলা বানান নিয়ে আপত্তি তুলছেন অনেকেই। বোর্ডে লেখা রয়েছে, “বিবেকানন্দ সরণি উদঘাটিত হোল”। এটিও সঠিক বানান নয়। সাধারনত এক্ষেত্রে ‘হল’ বানানটিই সর্বাধিক প্রচলিত। তবে বুদ্ধদেব বসু ব্যবহার করতেন ‘হ’লো’, এই বানানটি। কেউ কেউ ‘হলো’ বানানও ব্যবহার করেছেন, তবে বোর্ডে ব্যবহৃত বানানটির এই অর্থে কোনও ব্যবহার নেই। ‘উদঘাটিত’ শব্দের ব্যবহার নিয়েও আপত্তি জানিয়েছেন অনেকেই। একই আপত্তি রতনপল্লিতে নবনির্মিত বাজার ‘ভারততীর্থ’-এর সামনে লাগানো সাইনবোর্ড নিয়েও।
এই বিতর্কের মাঝে বিশ্বভারতীর তরফে এই বিষয়ে কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তাই, প্রশ্ন উঠছে, রবীন্দ্রনাথের নিজভূমে কি তবে পরবাসী বাংলা ভাষা?