বাংলা থেকে ধান কেনা নিয়ে মিথ্যে তথ্য দিচ্ছে এফসিআই: খাদ্যমন্ত্রী
সারা দেশের মধ্যে ধান উৎপাদনে পশ্চিমবঙ্গ (West Bangal) শীর্ষে। অথচ সারা দেশের মধ্যে এরাজ্যে এফসিআই সবথেকে কম ধান কিনেছে। এমনকী, ৭৬ হাজার মেট্রিক টন ধান কিনে পোর্টালে ৬ লক্ষ মেট্রিক টন ধান কেনার দাবি করছে কেন্দ্রীয় সরকারি সংস্থাটি। মানুষকে ওরা বিভ্রান্ত করতে চাইছে। এজন্য এফসিআইয়ের সংশ্লিষ্ট আধিকারিককে গ্রেপ্তার করা উচিত। ওদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বলব। রবিবার হাবড়ায় সাংবাদিক সম্মেলনের পাশাপাশি এক সভা থেকে এফসিআইয়ের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক (Jyotipriya Mallick)। এদিন বারাসতের রথতলা এলাকায় মহিলা তৃণমূল কর্মীদের নিয়ে বঙ্গজননী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার, বিধায়ক চিরঞ্জিত চক্রবর্তী সহ অনেকে ছিলেন। এদিন হাবড়ায় সাংবাদিক সম্মেলন করার পর ওই শহরে জনসভা করেন খাদ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ২০১৮১৯ মরশুমে এফসিআই দেশের মোট ধান উৎপাদনের ৪৩ শতাংশ কিনেছে। তার মধ্যে উত্তরপ্রদেশে ৭০ লক্ষ মেট্রিক টন, তেলেঙ্গানায় ১১১ লক্ষ মেট্রিক টন, অন্ধ্রপ্রদেশে ৮২ লক্ষ মেট্রিক টন, ওড়িশায় ৭০ লক্ষ মেট্রিক টন। মোট উৎপাদনের ৪৩ শতাংশ অনুপাতে ধান কিনতে হলে এরাজ্যে মোট ১ কোটি ৪ লক্ষ মেট্রিক টন ধান কিনতে হতো এফসিআইকে। কিন্তু ওই পরিমাণ ধান ওরা কিনছে না। ওরা এরাজ্য থেকে মাত্র ৭৬ হাজার মেট্রিক টন ধান কিনেছে। এটা রাজ্যের প্রতি বিমাতৃসুলভ আচরণ। অথচ, মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে। ওরা পোর্টালে লিখেছে, এরাজ্য থেকে ১৬ লক্ষ মেট্রিক টন কিনেছে। এফসিআই রাজ্যবাসীর সঙ্গে ‘জালিয়াতি’ করছে। এদিন তিনি শুভেন্দু অধিকারীর পুরুলিয়ার বক্তব্য প্রসঙ্গে বলেন, ওরা ঝাড়খণ্ড থেকে লোক ঢুকিয়ে ভোট করাতে চাইছে। ওই সীমান্ত দিয়ে অস্ত্রও ঢোকানো হচ্ছে। এই ছকের মূল মাথা ওই তৃণমূলত্যাগী নেতা। কিন্তু তিনি যা করতে চাইছেন, তা বড় ভুল। তাঁকে মনে রাখতে হবে, মে মাসের পর জুন মাস আসছে। তখন কার ছত্রছায়ায় থাকবেন? কাঁথিতে তাঁর ক্ষমতা চলে গিয়েছে।