রাজ্য বিভাগে ফিরে যান

রাজ্যে প্রথম দফার টিকা-প্রস্তুতি সম্পূর্ণ, তৈরি চার হাজার কেন্দ্র

January 11, 2021 | 2 min read

রাজ্যে প্রথম দফার টিকাকরণের জন্য যুদ্ধকালীন তৎপরতায় চার হাজার কেন্দ্র বেছে নিল রাজ্য সরকার (State Government)। সেই তালিকায় মেডিক্যাল কলেজ যেমন আছে, তেমনই রাখা হয়েছে প্রাথমিক বিদ্যালয়, অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলিকেও। এছাড়া জেলা হাসপাতাল, ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র বা গ্রামীণ হাসপাতাল থেকে শুরু করে প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র তো রয়েছেই। এমনকী সুস্বাস্থ্য কেন্দ্র বা হেলথ অ্যান্ড ওয়েলনেস সেন্টারেও দেওয়া হবে প্রথম দফার টিকা। কোথায় কোথায় প্রথম দফায় টিকাকরণ অভিযান চলবে, জেলা প্রশাসনকে তার মানচিত্র তৈরি (ম্যাপিং) করতে বলেছিল স্বাস্থ্যভবন। এক্ষেত্রে কেন্দ্র বাছাইয়ের প্রধান শর্ত ছিল, ন্যূনতম তিনটি ঘর থাকতে হবে। একটি অপেক্ষা করার, একটি টিকা দেওয়ার এবং তৃতীয়টি পর্যবেক্ষণে রাখার জন্য। সেইমতো কেন্দ্রগুলিকে বেছে নেওয়া হয়েছে। দপ্তর সূত্রে খবর, প্রথম দফা শেষ হওয়ার পর টিকাকরণ অভিযান বহরে যত বাড়বে, ভ্যাকসিন দেওয়ার কেন্দ্রের সংখ্যাও সেই অনুযায়ী বাড়ানো হবে। বর্তমানে রাজ্যের হাতে ১০ হাজারের বেশি বিভিন্ন স্তরের সরকারি হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্র রয়েছে। প্রয়োজনে বেসরকারি ক্ষেত্রকেও এ কাজে শামিল করা হবে। ফলে আরও দু’হাজার টিকাকরণ কেন্দ্র হাতে থাকবে।

কাদের মাধ্যমে রূপায়িত হবে টিকাকারণ কর্মসূচি ? স্বাস্থ্যদপ্তর সূত্রের খবর, প্রতিটি কেন্দ্রে টিকা প্রদান সুসম্পন্ন করতে কমপক্ষে পাঁচজন প্রশিক্ষিত স্বাস্থ্যকর্মী দরকার। দু’দফায় ‘ড্রাই রান’ চালিয়ে বিষয়টি ইতিমধ্যেই হাতেকলমে প্রমাণিত। এই পাঁচজনের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদ হল ‘ভ্যাকসিনেটর’ বা টিকা দেওয়ার (Covid Vaccine) কাজে যুক্ত স্বাস্থ্যকর্মী। রবিবার ছিল প্রথম দফার টিকাকরণের জন্য ভ্যাকসিনেটরদের প্রশিক্ষণের শেষদিন। স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম জানিয়েছেন, ‘২০ হাজার ভ্যাকসিনেটরের ট্রেনিং শেষ। বাদবাকি অন্যান্য কর্মীদের জোগাড় করা কোনও বিষয়ই নয়। আমরা সবদিক থেকে প্রস্তুত।’

দপ্তর সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, টিকাকরণে যুক্ত হতে চলা পাঁচজন কর্মীর সরকারি নাম হল ভিও ১, ভিও ২, ভি, ভিও ৩ এবং ভিও ৪। এই ‘ভিও’-র অর্থ হল ‘ভ্যাকসিনেশন অফিসার’। প্রথম জনের ভূমিকা হবে টিকাকরণ কেন্দ্রের নিরাপত্তার। সম্ভাব্য টিকাপ্রাপকদের কাগজপত্র খতিয়ে দেখে তিনিই একে একে টিকাকরণ কেন্দ্রে প্রবেশের অনুমতি দেবেন। ‘ভিও ২’-র কাজ হল, কাগজপত্র আরও একবার যাচাইয়ের পাশাপাশি সম্ভাব্য প্রাপকের নথিপত্র কো-উইন সাইটে আপলোড করা। ভি বা তৃতীয়জন হলেন ভ্যাকসিনেটর। তিনিই টিকা দেবেন। ভিও ৩ এবং ভিও ৪ থাকবেন টিকাপ্রাপকের পর্যবেক্ষণস্থলে। তাঁর শরীর খারাপ বা অন্য কোনও পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হলে সেইমতো ব্যবস্থা নেবেন চতুর্থ ও পঞ্চমজন।

প্রথম দফার টিকাকরণ অভিযানে প্রতিটি কেন্দ্রের জন্য পাঁচজন কর্মীই দেবে স্বাস্থ্যভবন। টিকাকরণ কলেবরে বাড়লে ভ্যাকসিনেটর বাদে বাকি চারজন কর্মীকে অন্যান্য সরকারি দপ্তর থেকেও নেওয়া হতে পারে।

এদিকে জেলার অনুষ্ঠানে ঘোষণার পর অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে করোনা যোদ্ধা চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের কাছে করোনার টিকা পৌঁছে দেওয়া প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। সম্প্রতি করোনা যোদ্ধাদের অভিনন্দন জানিয়ে তাঁর একটি চিঠি গিয়েছে স্বাস্থ্যকর্মী ও চিকিৎসকদের কাছে। এবার পুলিস, হোমগার্ড, অসামরিক প্রতিরক্ষা স্বেচ্ছাসেবক, সংশোধনাগার ও বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের কর্মীদেরও চিঠি পাঠিয়ে করোনা যুদ্ধে অসামান্য কাজের জন্য অভিনন্দন জানালেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁদের কাছেও ভ্যাকসিন পৌঁছে দেওয়ার অঙ্গীকার করেছেন মমতা।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#West Bengal, #Mamata Banerjee, #corona vaccine

আরো দেখুন