দক্ষিণবঙ্গ বিভাগে ফিরে যান

সাগরে ডুব নয়, পুণ্য স্নান এবার কিয়স্কে

January 11, 2021 | 2 min read

করোনা সংক্রমণের ছোঁয়াচ এড়াতে সাগর-স্নানে কিয়স্ক গড়ছে রাজ্য। সেখানেই পুণ্যস্নানের যাবতীয় ব্যবস্থা করেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা (South 24 Parganas) জেলা প্রশাসন। সেই সঙ্গে ই-স্নানের উপরও এবার বেশি জোর দিচ্ছে সরকার। রবিবার গঙ্গাসাগর মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের পর এ কথা জানিয়েছেন জেলাশাসক পি উলগানাথন। তিনি বলেন, ‘সাগরে ডুব দেওয়ার পরিবর্তে তীর্থযাত্রীদের এবার কিয়স্কের মাধ্যমে স্নানে উৎসাহ দেওয়া হবে। এর জন্য মেলায় যাবতীয় ব্যবস্থা করা হয়েছে।’

সাগরে ডুব দিয়ে পুণ্যস্নান আদৌ সম্ভব কি না, তা নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের (High Court) রায় আসা বাকি। রায় কী হয়, সেদিকে তাকিয়ে জেলা প্রশাসন। তবে তার আগে থেকেই গঙ্গাসাগর মেলায় ভক্ত সমাগম এড়াতে বেশ কয়েকটি পদক্ষেপ নিয়েছে তারা। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল এই কিয়স্ক। প্রশাসনের আধিকারিকরা মনে করছেন, কড়া বিধিনিষেধ থাকলেও সাগরে ভিড় এড়ানো সম্ভব নয়। ইতিমধ্যেই তীর্থযাত্রীদের আনাগোনা শুরু হয়েছে। সেই ভিড়কে সামাল দিতে হলে পুণ্যার্থীদের ডুব দিয়ে স্নানের উপর যতটা সম্ভব নিয়ন্ত্রণ করা বাঞ্ছনীয়। এমনিতেই এখন থেকে ই-স্নানের সামগ্রী মিলছে অনলাইনে। থাকছে ভার্চুয়ালি মেলা দর্শনের ব্যবস্থাও। কিন্তু তারপরও গঙ্গাসাগরে তীর্থযাত্রীদের ডুব দেওয়া থেকে বিরত রাখতে প্রশাসনের বিকল্প ব্যবস্থা এই কিয়স্ক (Kiosk)।

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, আউটরাম ঘাট, হারউড বাস স্ট্যান্ড এবং সাগর-তটের স্থানে স্থানে খোলা হয়েছে এই কিয়স্ক। এরই পাশাপাশি, বেশ কয়েকটি জায়গায় অস্থায়ী স্নানের ঘাট তৈরি করা হয়েছে। সাগরে যাওয়ার পরিবর্তে তীর্থযাত্রীরা এই সব জায়গায় পুণ্যস্নান সারতে পারবেন। মেলা প্রাঙ্গণে এ নিয়ে জোরদার প্রচার করা হবে বলে ঠিক করেছে প্রশাসন। কিয়স্কে সাগরের জল থাকবে। তা দিয়েই স্নান করতে পারবেন পুণ্যার্থীরা। এর জন্য অস্থায়ী ঘেরা ঘাটগুলিও ব্যবহার করা যাবে। একাধিক পয়েন্টে তৈরি করা হয়েছে এ ধরনের কিয়স্ক।

এদিকে, এদিন সন্ধ্যায় জেলা প্রশাসন, বিধায়ক এবং অন্যান্য কর্তাব্যক্তিদের উপস্থিতিতে সাগরমেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়। পুলিস এবং প্রশাসনিক কর্তাদের সঙ্গে সমন্বয় রেখে মেলা পরিচালনা করা হবে বলে জানিয়েছেন জেলাশাসক। সংক্রান্তির আগে থেকেই বিভিন্ন জেটিঘাটে তীর্থযাত্রীদের ভালোই ভিড় লক্ষ্য করা গিয়েছে। শিশু এবং বয়স্কদের হাতে বিশেষ পরিচয় ব্যান্ড লাগিয়ে দেওয়া হয়। কেউ হারিয়ে গেলে, এই ব্যান্ডে থাকা বারকোড স্ক্যান করে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে খুঁজে বের করা সম্ভব হবে। যাবতীয় সুরক্ষাবিধি মেনে মেলা পরিচালনা করা হলেও, কোভিড পরিস্থিতির কারণে এবার কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে রয়েছেন জেলা প্রশাসনের কর্তারা।

তবে মেলা উদ্বোধনের দিনই গঙ্গাসাগরের (Gangasagar) কচুবেড়িয়ায় ভেসেলের কর্মচারীরা বিক্ষোভ দেখান। সমকাজে সমবেতন, অস্থায়ী কর্মীদের স্থায়ীকরণ, সময়মতো বেতন দেওয়া সহ একাধিক দাবিতে সরব হন তাঁরা। দাবি না মিটলে ভেসেল চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। শেষ পর্যন্ত জেলা প্রশাসনের তরফে আশ্বস্ত করার পরই অবস্থান-বিক্ষোভ থেকে বিরত হন ভেসেল কর্মীরা।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Ganga Sagar

আরো দেখুন