দুর্ঘটনায় শয্যাশায়ী সদ্যোজাতের মা জরুরিভিত্তিতে পেলেন স্বাস্থ্যসাথী কার্ড
প্রসবের আগেই গুরুতর দুর্ঘটনা। তাতে পা ভাঙে সোমা বর নামে এক মহিলার। একেবারে শয্যাশায়ী থাকার নির্দেশ দেন চিকিৎসকেরা। আহত অবস্থাতেই সন্তানের জন্ম দেন তিনি। তবে চিকিৎসা চলবে তাঁর। মহিলার আর্থিক অবস্থা খুবই খারাপ। তাই খরচ সামলানোর উপায় হিসেবে বেছে নিয়েছেন স্বাস্থ্যসাথীকে। শনিবার জরুরিভিত্তিতে বিধাননগর পুরসভার উদ্যোগে ৪১ নম্বর ওয়ার্ডের দুয়ারে সরকার (Duare Sarkar) শিবির থেকে তাঁর হাতে স্বাস্থ্যসাথীর কার্ড (Swasthya Sathi Card) তুলে দেওয়া হয়। সেই কার্ডে অনুমোদিত টাকা দিয়েই পরবর্তীতে তাঁর চিকিৎসা চলবে।
রাজারহাট এলাকার ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা সোমা বর। ২১ দিন আগে দুর্ঘটনায় আহত অবস্থাতেই এক শিশুর জন্ম দিয়েছেন তিনি। এদিন তাঁকে অ্যাম্বুলেন্স এবং স্ট্রেচারে করে নিয়ে আসা হয় ওই ক্যাম্পে। চিকিৎসকরা তাঁকে বিছানার নীচে পা নামাতে নিষেধ করেছেন। তাই তাঁর জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়। পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, সম্প্রতি ওই মহিলা তাঁর নিজের ১৯ নং ওয়ার্ডে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের জন্য আবেদন জমা দেন। সেই আবেদন গ্রাহ্য করা হয়েছে, এই মর্মে একটি মেসেজ আসে তাঁর ফোনে। মহিলার শারীরিক অবস্থার কথা মাথায় রেখে ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা হওয়া সত্ত্বেও তাঁকে ৪১ নম্বর ওয়ার্ডের ক্যাম্পে নিয়ে আসা হয়। সেখানে তাঁর ছবি এবং বায়োমেট্রিক তথ্য নেন স্বাস্থ্যদপ্তরের আধিকারিকরা। সেখানেই তাঁর হাতে তুলে দেওয়া হয় স্বাস্থ্যসাথীর কার্ড। এই কার্ড হাতে পেয়ে খুশি ওই মহিলা জানিয়েছেন, অন্তত আর্থিক প্রতিকূলতা দূর হল।
অন্যদিকে, এদিন যকৃৎ সমস্যায় ভুগতে থাকা এক রোগীর হাতে স্বাস্থ্যসাথীর কার্ড তুলে দেন বিধাননগর পুরসভার ৪১ নম্বর ওয়ার্ডের কো-অর্ডিনেটর অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, সাত্যকি পাল নামে এক যুবক বহুদিন ধরে কিডনির সমস্যায় ভুগছেন। তিনি ৪০ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা। চিকিৎসকেরা তাঁকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব অস্ত্রোপচারের পরামর্শ দিয়েছেন। সেই জন্যই তাঁকে ভেলোরে নিয়ে যাওয়া হবে। অস্ত্রোপচারের আগে শনিবার ওই যুবকের পরিবারের হাতে কার্ড তুলে দেওয়া হয়। ওই যুবক জানিয়েছেন, তাঁর যকৃৎ ট্রান্সপ্ল্যানটেশন করা হবে। তাতে অনেক টাকা খরচ হবে। এই খরচ চালাতে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড সাহায্য করবে।