বার্ড ফ্লু – মুরগির মাংস ও ডিম খাওয়ায় সমস্যা নেই: কেন্দ্র
দেশের ১০টি রাজ্যে বার্ড ফ্লু দেখা দিলেও মুরগির মাংস কিম্বা ডিম খাওয়ায় কোনও সমস্যা নেই বলেই জানিয়ে দিল মোদি সরকার (Modi Government)। ভালো করে ফুটিয়ে রান্না করে খেলে ভাইরাস মরে যায় জানিয়ে কেন্দ্রীয় প্রাণীসম্পদ মন্ত্রী গিরিরাজ সিং সোমবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, ‘অযথা আতঙ্ক ছড়িয়েছে। বার্ড ফ্লুতে (Bird Flu) কাক, হাঁস, পোলট্রিজাত প্রাণী কয়েকটি রাজ্যে মারা গেলেও গোটা দেশে যেভাবে আতঙ্ক ছড়ানো হচ্ছে, তা মোটেই কাম্য নয়। নিশ্চিন্তে ৭০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় মুরগির মাংস ভালো করে রান্না করে খেতেই পারেন।’
মন্ত্রকের সচিব অতুল চতুর্বেদি জানান, ‘এখনও পাখির শরীর থেকে এভিয়েন ইনফ্লুয়েঞ্জার ভাইরাস (এইচ ফাইভ এন ওয়ান) মানবদেহে সংক্রমণের প্রমাণ নেই। মুরগির বার্ড ফ্লু হলেও তার ডিমে কোনওভাবেই ভাইরাস পৌঁছয় না। তাই নিশ্চিন্তে ডিম খান।’ বার্ড ফ্লুর সংক্রমণ রুখতে বাজারে ভ্যাকসিনও রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, যেখানে এভিয়েন ইনফ্লুয়েঞ্জার ভাইরাসের সন্ধান মেলে সেখানেই পোলট্রির বাকি হাঁস মুরগি বাঁচাতে টিকা দেওয়া হয়। তাই বার্ড ফ্লু নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।
বার্ড ফ্লুতে আক্রান্ত হয়ে মারা যাচ্ছে শয়ে শয়ে হাঁস, কাক, মুরগি। দিল্লিতেও তা ছড়িয়েছে। আচমকা রাজধানীর সঞ্জয় লেকে মরে ভাসতে দেখা গিয়েছে হাঁস। তবে তার জন্য দিল্লির গাজিপুরে পোলট্রি বাজার বন্ধ করে দেওয়াই নয়, হাঁস-মুরগির গাড়ি ঢোকার উপরও নিষেধাজ্ঞা জারি করায় অরবিন্দ কেজরিওয়াল সরকারের সমালোচনা করেছেন মন্ত্রী গিরিরাজ সিং। তিনি বলেন, ‘দু’ দুবার (গত ২২ অক্টোবর এবং ৮ জানুয়ারি) প্রতিটি রাজ্যকে বার্ড ফ্লু ইস্যুতে সতর্ক করে চিঠি পাঠানো হয়েছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও রাজ্যগুলি যথাযথ ব্যবস্থা নেয়নি। আগেই সতর্ক হলে পরিস্থিতি এরকম হত না।’
এখনও পর্যন্ত কেরল, হিমাচল, রাজস্থান, উত্তরাখণ্ড, উত্তরপ্রদেশ, হরিয়ানা, মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, দিল্লি এবং গুজরাত, এই ১০ টি রাজ্যে বার্ড ফ্লুর হদিশ মিলেছে। পশ্চিমবঙ্গ সরকার ইতিমধ্যেই উদ্যোগ নিয়েছে। প্রতিটি জেলার মুখ্য মেডিকেল অফিসারের উদ্দেশে নির্দেশিকা জারি করে ডায়রেক্টরেট অব হেলথ সার্ভিসেস বলেছে, যাঁরা পোলট্রিতে কাজ করেন, তাঁরা সর্বদা গ্লাভস, গগলস পরে থাকবেন। ব্যবহার করবেন ফেস শিল্ড। পোলট্রিতে কাজ করার সময় কিছু খাবেন না। কোথাও কোনও পাখিকে ঝিমতে দেখলেই প্রাণী সম্পদ দপ্তরে খবর দিতে দেরি করবেন না। একসঙ্গে অনেক হাঁস-মুরগির মৃত্যুর খবর পেলেই জেলায় জেলায় প্রাণীসম্পদ বিকাশ দপ্তরে জানান।