কোচবিহারে গেরুয়া শিবির ছেড়ে তৃণমূলে ৮২টি পরিবার
বিধানসভা নির্বাচনের (Assembly Election 2021) আগে একের পর এক তৃণমূল নেতা-কর্মী দলবদল করেছেন ইতিমধ্যেই। তার ফলে শক্তিবৃদ্ধি হচ্ছে বিজেপির। আর তাতে বেজায় খুশি গেরুয়া শিবির। এই প্রেক্ষাপটে একেবারে উলটপুরাণ। কোচবিহারে শক্তি কমল পদ্ম শিবিরের। কারণ, বলরামপুর এক এবং দু’নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের ৮২টি পরিবার নাম লেখাল ঘাসফুল শিবিরে।
মঙ্গলবার রাতে বলরামপুর এক এবং দু’নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের দলত্যাগীদের হাতে তৃণমূলের পতাকা তুলে দেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দপ্তরের মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ (Rabindra Nath Ghosh)। যোগদানের ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তুফানগঞ্জ এক নম্বর ব্লকের সভাপতি মনোজ বর্মন, বলরামপুর ১ এবং ২ নম্বর গ্রামপঞ্চায়েতের প্রধান ও সভাপতিরা। উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, “মানুষ উন্নয়নের কথা ভেবেই ভোট দেন। আর উন্নয়ন চাইলে সকলকে তৃণমূলের সঙ্গে থাকতেই হবে। সে কারণেই বিজেপি ছেড়ে দলে দলে সকলে ঘাসফুল শিবিরে যোগ দিচ্ছেন।”
কেন এই দলবদল? সে বিষয়ে সদ্য দলত্যাগীদের দাবি, গেরুয়া শিবিরে সেভাবে কাজের সুযোগ পাচ্ছিলেন না তাঁরা। বিজেপির (BJP) বিভাজনের রাজনীতি এবং ভাঁওতাবাজিতে বীতশ্রদ্ধ বলেও জানান সদ্য দলবদলকারীরা। উন্নয়নের কর্মযজ্ঞে শামিল হতে তাই দলবদলের সিদ্ধান্ত। সে কারণেই বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপি ছেড়ে ঘাসফুল শিবিরে নাম লিখিয়েছেন বলেই দাবি তাঁদের।
গত নির্বাচনে উত্তরবঙ্গে তেমন ভাল ফল হয়নি শাসকদল তৃণমূলের। তাই বিধানসভা নির্বাচনের আগে উত্তরবঙ্গের সংগঠনকে ঢেলে সাজানোর কাজ চলছে। দিনকয়েক আগেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) উত্তরবঙ্গ সফরে গিয়েছিলেন। একাধিক দলীয় বৈঠকে যোগ দেন। দলীয় নেতা-কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার বার্তা দেন তিনি। বিধানসভা নির্বাচনে বিনা যুদ্ধে কিছুতেই বিরোধীদের জমি ছেড়ে দেওয়া যাবে না বলেও জানিয়ে দিয়ে আসেন। বিপুল ভোটের জয়ের লক্ষ্যমাত্রাও স্থির করেন। তারপরই এই দলবদলে কিছুটা হলে শাসকদের স্বস্তি জোগাচ্ছে। তবে এ ব্যাপারে মুখে কুলুপ বিরোধী বিজেপির।