ভুল চাল চেলে নিজেই কিস্তিমাৎ রুদ্রনীল?
মঞ্চ থেকে সিনেমা, রুদ্রনীল ঘোষ (Rudranil Ghosh) দর্শকদের মাতিয়ে রেখেছেন প্রায় এক দশকের ওপরে। পাশাপাশি যবে থেকে মঞ্চে এসেছেন প্রায় তবে থেকেই নানা কারণবসত রাজনৈতিক নেতাদের তোষামোদ করে এসেছেন, কারণ আড়ালে আবডালে প্রয়োজন হয়েছে শেল্টার নেওয়ার।
২০০৫ সাল। ধর্ষণের অভিযোগে একাডেমি অফ ফাইন আর্টসে ‘ফ্যাতাড়ু’ নাটকের শো থেকে তাকে গ্রেপ্তার করতে যায় কলকাতা পুলিশ। তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য পুলিশের এই ভূমিকায় নিন্দা প্রকাশ করেন। সিপিএমের (CPM) অনেক নেতাই তখন তাকে পছন্দ করতেন বলে শোনা গেছে। নানা সরকারি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেও দেখা গেছে তাকে।
২০১১। রাজ্যে পালাবদল হলো। নতুন সরকার এলো। আর রুদ্রনীলও লাল থেকে নীল। যে তৃণমূলকে এতদিন হ্যাটা করতেন, সেই তৃণমূলেরই গুণগান গাইতে আরম্ভ করলেন। চোখে পড়লেন বেশ কিছু নেতার, যাঁরা তার তোষামোদে তুষ্ট হয়ে তাকে জায়গা ছাড়তে আরম্ভ করলেন। বুদ্ধিমান রুদ্রনীল খুব তাড়াতাড়িই অনেকের সেন্হধন্য হয়ে উঠেলেন, বাগিয়ে নিলেন সরকারি পদ। কিন্তু পাপ কি আর চাপা থাকে? সরকারি কাজে তার অযোগ্যতা সামনে উঠে এলো। অযোগ্যতা ঢাকতে তাকে কুৎসার রাস্তা বেঁচে নিতে হলো. শুরু হলো বিচ্ছেদের।
২০১৯এর লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল দেখে রুদ্রনীল ভাবলেন, লাল হয়েছে, নীল হয়েছে, এবার গেরুয়ার দিকটায় না গেলেই নয়। আসলে রাজনীতির জগতের লোক না হলে যা হয়, হিসাবে ভুল করে ফেললেন। ধরে নিলেন, বিজেপিই ভবিষ্যৎ, তাদের তোষামোদ করলে লাভ হতে পারে। কিন্তু একদা বামপন্থীদের সঙ্গে ওঠাবসা করে, তারপর মা মাটি মানুষের স্লোগান দিয়েও বুঝতে পারেন নি, বাংলার মানুষ তাদের দিদিকে ছাড়তে চাইছে না। সহজ কিস্তিমাত করতে গিয়ে ভুল চাল চেলে দিলেন রুদ্রনীল। আর তিন-চার মাস বাদে তিনি কী করবেন, কোথায় যাবেন, সেটা সময়ই বলবে। (কবি পুরন্দর ভাটের ভাষায়, ‘ বোকা ছেলে চুকুচুকু কোকাকোলা খায়…।’)
দৃষ্টিভঙ্গি বারংবার চেষ্টা করেছে রুদ্রনীলের সঙ্গে কথা বলার কিন্তু তিনি ফোন ধরেন নি।