‘প্রত্যেককে আগের অবস্থা ফিরিয়ে দেওয়া হবে’, বাগবাজারে আশ্বাস মুখ্যমন্ত্রীর
বৃহস্পতিবার সকালে বাগবাজারে ভস্মীভূত বস্তি পরিদর্শনে এসে বাসিন্দাদের বরাভয় দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। বুধবার সন্ধ্যের আগুনে পুড়ে ছাড়খার হয় বাগবাজার ব্রিজের কাছের বস্তি। আগুন লাগার এক ঘন্টার মধ্যেই বস্তির সম্পূর্ণ অংশ পুড়ে যায়। বস্তিবাসীদের থাকার পাশাপাশি খাওয়ারও ব্যবস্থা করবে রাজ্য সরকার এদিন এমনটাই জানালেন মমতা।
এদিন ভস্মীভূত এলাকা পরিদর্শনে এসে মমতা বলেন, “শশী পাঁজা, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, পুলিশ কমিশনার এদের সকলের সঙ্গে বারবার কথা হয়েছে আমার। দমকল, বিপর্যয় মোকাবিলা দল, ভলান্টিয়াররা সবাই মিলে একসঙ্গে আগুন নেভানোর কাজ করেছে। থাকা খাওয়ার বন্দোবস্তও করেছি। আজ এই জায়গা পরিষ্কার হবে। এরপর যার যেরকম জায়গা ছিল সেই মত কলকাতা কর্পোরেশন আগের পরিস্থিতি তৈরি করে দেবে। চিন্তার কোনও কারণ নেই।”
এছাড়াও ফিরহাদ হাকিমকে মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দেন পাঁচ কেজি করে চাল, ডাল, আলু, বাচ্চাদের দুধ-বিস্কুট দেওয়ার। মন্ত্রী শশী পাঁজাকে (Shashi Panja) নির্দেশ দেন মহিলাদের ৪-৫টা করে শাড়ি দেওয়ার।যদিও বস্তিবাসীদের অভিযোগ আগুন নেভানোর কাজ দেরি করে হয়েছে।
অন্যদিকে, মুখ্য প্রশাসক তথা পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim) জানান যে বৃহস্পতিবার থেকেই শুরু হবে নতুন ঘর তৈরির কাজ, জানিয়ে দেন ফিরহাদ।“ মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হবে। আপাতত অস্থায়ী শিবিরে খাওয়া-থাকার ব্যবস্থা নিচ্ছে সরকার।” রাতের আশ্রয়ের জন্য চারটি কমিউনিটি হল খুলে দেওয়া হয়েছে। বাগবাজার উইমেন্স কলেজে অস্থায়ী শিবির খোলা হয়েছে রাতেই।