মকর সংক্রান্তিতে গঙ্গাসাগরে স্নান করলে কী ফল লাভ হয়
মকরসংক্রান্তি। এই পুণ্য তিথিতে ভোর ৬টা থেকে সন্ধে ৬টা পর্যন্ত স্নানের জন্য সবচেয়ে ভাল সময়। তিথি-নক্ষত্রের অবস্থান মেনে এই সময় হল স্নানের আদর্শ সময়। সেই পুণ্যস্নানের জন্য প্রতি বছর ঠান্ডা উপেক্ষা করে গঙ্গাসাগরে পুণ্যার্থীদের ভিড় জমা হয়। সব তীর্থ বার বার, গঙ্গাসাগর এক বার। পুণ্যস্নান সেরে কপিল মুনির আশ্রমে মাথা ঠেকিয়ে পুণ্য অর্জনের আশা বুকে করে কাতারে কাতারে মানুষ ছুটে চলেছেন। ৮ দিনের বাচ্চা থেকে ৮০ বছরের বৃদ্ধ। সব বয়সের মানুষ রয়েছেন এই ভিড়ে।
জানেন, মকর সংক্রান্তিতে গঙ্গাসাগরে স্নান করলে কী ফল লাভ হয়?
তখন মহাভারতীয় যুগ। এ কথা মহাভারতের। প্রসঙ্গক্রমে এক সময় ধর্মরাজ যুধিষ্ঠির জানতে চাইছেন দেবর্ষি নারদের কাছে, “যে লোক তীর্থ পর্যটনে ব্যাপৃত হইয়া সমগ্র পৃথিবী প্রদক্ষিণ করে, তাহার কি ফল হয়,তাহা আপনি সমস্ত বলুন।”
এ জিজ্ঞাসার উত্তরে দেবর্ষি বললেন, “রাজা! মনোযোগী হইয়া শ্রবণ করুন- যেমন বুদ্ধিমান্ ভীষ্ম পুলস্ত্যের নিকট এই সকল শ্রবণ করিয়াছিলেন।”
আনুমানিক ৪৪৫০ বছর আগের কথা। নানা তীর্থের মাহাত্ম্য কথা হরিদ্বারে বসেই ঋষি পুলস্ত্য বলেছিলেন গঙ্গানন্দন মহামতি ভীষ্মকে,
“রাজশ্রেষ্ঠ! জ্ঞানীরা বলিয়া থাকেন যে, মানুষ গঙ্গাসাগরসঙ্গমে স্নান করিয়া অশ্বমেধযজ্ঞের দশগুণ ফল লাভ করে।” (মহাভারত, বনপর্ব্ব, সপ্ততিতমোহধ্যায়)
সেই প্রাচীন ও পরম পবিত্র তীর্থ গঙ্গাসাগর সঙ্গমে এমন মাহাত্ম্যপূর্ণ স্নানের আকর্ষণে অগণিত তীর্থকামী অতীতে এসেছেন, আসছেন আজও, আসবেন অনাগত ভবিষ্যতেও।