রাত পোহালেই টিকাকরণ, তদারকিতে খোদ মুখ্যমন্ত্রী
রাত পোহালেই শুরু হবে করোনা টিকাকরণ। ভ্যাক্সিনেশনের সামগ্রিক কাজ তদারকি করছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) স্বয়ং। ওইদিন কোনও একটি টিকাকরণ কেন্দ্রে নিজেও উপস্থিত থাকতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী। তার আগে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। প্রত্যেকটি টিকাকরণ কেন্দ্রের বাইরে থাকবে পর্যাপ্ত অ্যাম্বুল্যান্স। পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সামলাতে তৈরি হয়েছে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের একাধিক কমিটি।
আগামিকাল, শনিবার থেকে রাজ্যজুড়ে শুরু হবে টিকাকরণ (Covid Vaccine)। প্রাথমিক ধাপে প্রথম দিন ২০ হাজারের কিছু বেশি চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মীর টিকা দেওয়া হবে। চিহ্নিত হয়েছে ৪০০০ টিকাকরণ কেন্দ্র। তার আগে বৃহস্পতিবার দিনভর দফায় দফায় স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম প্রত্যেকটি জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করেন। ঠিক ছিল, প্রথম দিন ২০৪টি টিকাকরণ কেন্দ্রে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। কিন্তু, শেষ মুহূর্তে এদিনের বৈঠকে কলকাতার তিনটি নার্সিংহোমকে যুক্ত করা হয়েছে। সেখানেও টিকাকরণ হবে। সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত চলবে টিকাকরণ পর্ব। প্রত্যেককে বাধ্যতামূলকভাবে প্যান কার্ড আনতে বলা হয়েছে। কলকাতায় এসএসকেএম, এনআরএস, ন্যাশনাল মেডিক্যাল, চিত্তরঞ্জন সেবাসদন, স্কুল অফ ট্রপিক্যাল মেডিসিন, ডঃ বিসি রায় পিজি ইনস্টিটিউশন, বেলেঘাটা আইডি, এমআর বাঙ্গুর এবং পুরসভার ১১, ৩১, ৫৭, ৮২ ও ১১১ নম্বর ওয়ার্ডের পুর স্বাস্থ্যকেন্দ্রকে ভ্যাক্সিনেশনের জন্য আপাতত চিহ্নিত করা হয়েছে। আগামিকাল থেকে টানা চলবে ভ্যাকসিনেশন।
তিন-চারদিন পর ফের হবে মনিটরিং। টিকাকরণের দিন প্রত্যেকটি কেন্দ্রের সঙ্গে মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় (Alapan Bandopadhyay) ভার্চুয়াল মাধ্যমে যুক্ত থাকবেন। প্রত্যেকটি জেলায় মেডিক্যাল কলেজ থেকে ব্লক স্তর পর্যন্ত তৈরি করা হয়েছে চিকিৎসকদের একাধিক কমিটি। ভ্যাকসিন নেওয়ার পর কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিলে তা সামলানোর জন্য বিভিন্ন বিশেষজ্ঞদের টিম তৈরি থাকবে। সেইসঙ্গে প্রত্যেকটি সেন্টারের বাইরে থাকবে পর্যাপ্ত সংখ্যায় অ্যাম্বুল্যান্স, যাতে টিকা নেওয়ার পর কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া যায়। যেহেতু অ্যাপোলো, আর এন টেগোর এবং আমরি ঢাকুরিয়ার মতো তিনটি নামী বেসরকারি হাসপাতালে অনেক চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মী রয়েছেন, তাই তাঁদের অন্য সেন্টারে না পাঠিয়ে সেখানেই টিকাকরণ কেন্দ্র হিসেবে অনুমতি দিয়েছে রাজ্য সরকার।
অন্যদিকে, ভ্যাকসিনেশনের আওতায় নিজেদেরকে যুক্ত করার জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (Narendra Modi) চিঠি দিয়েছে অল ইন্ডিয়া অরগানাইজেশন অফ কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্টস। তাদের দাবি, সংগঠনে প্রায় সাড়ে আট লক্ষ সদস্য রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন বিভিন্ন দোকানদার, কর্মী ও পাইকারি ব্যবসায়ীরা। তাঁদের প্রথম সারির করোনা যোদ্ধার সম্মান দিয়ে টিকাকরণের অগ্রাধিকারের তালিকায় যুক্ত করা হোক। তাঁদের দাবি, ইতিমধ্যেই তাঁদের সংগঠনের ৩০০ জন সদস্য এই ভাইরাসের বলি হয়েছেন।