রাজ্য বিভাগে ফিরে যান

রোজভ্যালি কর্তার স্ত্রী শুভ্রাকে গ্রেফতার করল সিবিআই

January 16, 2021 | 2 min read

রোজভ্যালি(Rosevalley) মামলায় গ্রেপ্তার করা হল চিটফান্ড কর্ণধার গৌতম কুণ্ডুর(Gautam Kundu) স্ত্রী শুভ্রা কুণ্ডুকে(Subhra Kundu)। তাঁর বিরুদ্ধে রোজভ্যালির টাকা পাচার করার অভিযোগ রয়েছে। সিবিআইয়ের(CBI) দীর্ঘ জেরায় তিনি সন্তোষজনক উত্তর দিতে না পারার কারণে শুক্রবার তাঁকে ধরা হয়। আজ শনিবার তাঁকে ওড়িশার সিবিআই আদালতে হাজির করানো হবে। কী অভিযোগ শুভ্রার বিরুদ্ধে? রোজভ্যালির বিরুদ্ধে ২০১৪ সালে সিবিআই ওড়িশায় মামলা রুজু করে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অভিযোগ ছিল, বিভিন্ন তথ্যপ্রমাণ নষ্ট করে ফেলেছিলেন চিটফান্ড সংস্থার কর্তারা। তাই তখন মামলা রুজু করা যায়নি। ওড়িশার মামলায় গৌতম কুণ্ডু গ্রেপ্তার হন। পরে গ্রেপ্তার করা হয় সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৎকালীন সাংসদ তাপস পালকে। প্রসঙ্গত, পরবর্তীকালে তাপসবাবু প্রয়াত হন।
সিবিআইয়ের দাবি, গৌতম কুণ্ডুকে গ্রেপ্তারের পর রোজভ্যালির ব্যবসা পুরোটাই দেখাশোনা করতেন শুভ্রাদেবী। প্রভাবশালী কয়েকজন তাঁকে সাহায্য করেন। তাঁদের মদতে আমানতকারীদের টাকা ইডি’র এক আধিকারিকের মাধ্যমে বাইরে নিয়ে আসেন। কাগুজে কোম্পানি খুলে সেই টাকা ঘোরানো হয়। পরে আবার ওই টাকাই ঘুরিয়ে শুভ্রাদেবীর ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে জমা হয়। শুধু তাই নয়, রোজভ্যালির স্বর্ণবিপণি সংস্থার ডিরেক্টরের নাম বদল করা হয়। শুভ্রাদেবী ডিরেক্টর হন। সিবিআই জেনেছে, রোজভ্যালির টাকা হাওলার মাধ্যমে বিদেশে পাঠানো হতো। সেই টাকায় কেনা হতো সোনা। এরপর দেশে সোনা নিয়ে এসে জুয়েলারি আইটেম তৈরি করা হতো। সোনা বিক্রির টাকা ঢুকত গৌতম কুণ্ডুর স্ত্রীর অ্যাকাউন্টে। এমনকী রোজভ্যালির হোটেলের মালিকানা বদলের ক্ষেত্রে ভূমিকা ছিল শুভ্রাদেবীর। সেই ব্যবসার টাকাও আসত মালকিনের অ্যাকাউন্টে।

শুধু তাই নয়, তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি রোজভ্যালির সম্পত্তি রাতারাতি বিক্রি করে দিয়েছেন। ওই টাকা শুভ্রাদেবী বিদেশে পাচার করে, সেখানে সম্পত্তি কিনেছেন বলে শোনা যাচ্ছে। এর আগে তাঁর কাছে এই বিষয়ে সিবিআই জানতে চাইলে তিনি সদুত্তর দিতে পারেননি। সম্প্রতি টাকা পাচারের নথি সিবিআইয়েএর হাতে এসেছে। এই বিষয়ে জানতে তাঁকে নোটিস পাঠানো হলেও তিনি হাজিরা দেননি। এদিন তাঁর যাদবপুরের বাড়িতে যান আধিকারিকরা। তাঁকে লেনদেন নিয়ে প্রশ্ন করা হয়। কিন্তু তাঁর উত্তর সন্তোষজনক মনে হয়নি সিবিআই অফিসারদের। এরপর তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সিবিআই সূত্রে খবর গৌতম কুণ্ডু গ্রেপ্তার হওয়ার পর তিনি কীভাবে ব্যবসা চালিয়েছেন, কোন কোন প্রভাবশালী ব্যক্তি তাঁকে সাহায্য করেছেন, জেলবন্দি গৌতম কুণ্ডুকে তিনি কেন বারে বারে ফোন করেছেন, এদিন এই সব প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছিল শুভ্রাদেবীকে। সিবিআই অফিসাররা জেনেছেন, ব্যবসা নিয়ে প্রভাবশালীদের সঙ্গে প্রায়শই বৈঠক করতেন শুভ্রা। রোজভ্যালির টাকা পাচারে তাঁরা তাঁকে সাহায্য করেছেন বলে অভিযোগ। রোজভ্যালির পাচার হাওয়া টাকা কোথায় কোথায় বিনিয়োগ করা হয়েছে, তা তাঁর কাছে জানতে চাওয়া হবে। সেই সঙ্গে প্রভাবশালী যোগ নিয়েও ব্যাখ্যা চাওয়া হবে।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Subhra Kundu, #Rosevalley, #Gautam Kundu, #West Bengal

আরো দেখুন