শীতে কাঁপছে উত্তরবঙ্গ
ফের বাতিল হল উড়ান। কুয়াশার জেরে শনিবার শিলিগুড়ির সঙ্গে যোগাযোগকারী কলকাতা, দিল্লি, বেঙ্গালুরু ও ডিব্রুগড়ের চারটি বিমান বাতিল হয়েছে। অন্যদিকে, ঠান্ডার কামড়ে ফের কাঁপছে উত্তরবঙ্গের (North Bengal) পাঁচ জেলা। এদিন কোনও জেলাতেই সূর্যের দেখা মেলেনি। কুয়াশার চাদরে মোড়া ছিল প্রতিটি জেলা। দিনভর আগুন জ্বালিয়ে বাসিন্দাদের হাত, পা সেঁকতে দেখা গিয়েছে।
চলতি সপ্তাহে কুয়াশার জেরে মঙ্গলবার ২১ জোড়া ও বুধবার ১৮ জোড়া বিমান বাতিল হয়। এরপর কুয়াশার দাপট কিছুটা কমে। বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার বিমান চলাচল স্বাভাবিক ছিল। এদিন ফের বিমান চলাচলে প্রভাব পড়ে। বাগডাগরা বিমানবন্দর সূত্রের খবর, এদিন ৩২টি বিমান চলাচল করেছে। কিন্তু বাগডোগরা-দিল্লি, বাগডোগরা-ডিব্রুগড়, বাগডোগরা-বেঙ্গালুরু ও বাগডোগরা-কলকাতা রুটের চারটি বিমান বাতিল করা হয়েছে। এখানে ঘনঘন উড়ান বাতিল হওয়ায় বিমানবন্দরের পরিকাঠামো নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। বাগডোগরা বিমানবন্দরের ডিরেক্টার সুব্রমণি পি অবশ্য বলেন, আবহাওয়া প্রতিকূল হওয়ায় চারটি বিমান বাতিল হয়েছে।
এদিন দার্জিলিং (Darjeeling) জেলায় হাড় কাঁপানো ঠান্ডা পড়ে। জেলার সমতলের অংশ শিলিগুড়িতে এদিন সূর্যের দেখা মেলেনি। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত আকাশ ছিল মেঘলা। সমগ্র এলাকা ছিল কুয়াশাচ্ছন্ন। সঙ্গে চলে শীতল হাওয়া। দুপুরের পর ঠান্ডার কামড় আরও বেড়েছে। এই অবস্থায় এদিন যাঁরা রাস্তায় বেরন, তাঁদের পরনে ছিল মোটা গরম পোশাক। অনেকে আবার রাস্তার ধারে কাঠ জ্বালিয়ে হাত, পা সেঁকেন। আবার অনেকে দরজা, জানালা বন্ধ করে ঘরের মধ্যে দিন কাটিয়েছেন। আবহাওয়া দপ্তর সূত্রের খবর, শুক্রবারের তুলনায় এদিন মহকুমায় তাপমাত্রার পারদ কিছুটা নেমেছে। শুক্রবার মহকুমায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২২.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিন তা নেমে দাঁড়ায় ১৭.৪ ডিগ্রিতে। এদিন সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১২.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস।