← রাজ্য বিভাগে ফিরে যান
বিরাট চমক মমতার! নন্দীগ্রাম থেকে প্রার্থী হবেন খোদ তৃণমূলনেত্রী
নন্দীগ্রামে সভাস্থলে বক্তব্য রাখলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। আর সভায় এক বিরাট চমক দিলেন তিনি। আগামী বিধানসভা নির্বাচনে নন্দীগ্রাম থেকে প্রার্থী হওয়ার ইচ্ছাপ্রকাশ করলেন খোদ তৃণমূলনেত্রী।
শুভেন্দু অধিকারী দলবদলের পর নন্দীগ্রামে (Nandigram) মমতার এটি প্রথম সভা। তেখালির মাঠে সভা তাঁর। সিঙ্গুরের পাশাপাশিই নন্দীগ্রামের মাটি থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূলের রাজনৈতিক উত্থানের শুরু। গত ৭ জানুয়ারি সভা বাতিলের পর নন্দীগ্রামে আজ সভা তৃণমূল (Trinamool Congress) সুপ্রিমোর।
২০০৭ সালে জমি আন্দলন করতে গিয়ে নিখোঁজদের পরিবারের হাতে চার লক্ষ টাকার চেক প্রদান করেন তিনি।
কী বললেন মমতা? দেখে নিন
- ‘এই জায়গার নাম তেখালি। এখানে কত ঘটনা ঘটেছে আপনারা জানেন। এই তেখালিতেই গুলি চলেছিল। আমার গাড়িতেও ২-৩টে গলি লেগেছিল। ১৪ মার্চ গুলি চলল। আমি অনশন করেছিলাম ২৬ জদিন। জমি অধিগ্রহণের বিরুদ্ধে আমার অনশনের ফলে ভারত সরকার আইন বদলেছিল।’
- ‘বিভিন্ন জায়গা থেকে নন্দীগ্রামে ঢুকতে আমাকে বাধা দেওয়া হয়েছে। আমাদের ফিরে যেতে বলা হয়েছিল। কোলাঘাটে বলেছিল পেট্রোল ঢেলে জ্বালিয়ে দেবে। তৎকালীন রাজ্যপাল আমাকে ফোন করে ফিরে আসতে বলেছিলেন। কিন্তি আমি ফিরে যাইনি। বাঁশ টপকে নন্দীগ্রামে ঢুকেছিলাম।’
- ‘কে নন্দীগ্রাম আন্দোলন করেছে, তা নিয়ে আমি কারোর কাছে জ্ঞান নেবো না। সেইসব দিন আমরা দেখেছি। কীভাবে জ্যান্ত মানুষগুলোকে হত্যা কর হল। নন্দীগ্রামের আত্মিক টান ছিল-আছে থাকবে। ভুলতে পারি নিজের নাম। ভুলবো না নন্দীগ্রাম। এটা নিয়ে আমার বই আছে। আজ নন্দীগ্রাম অনেক উন্নত হয়েছে। কৃষাণ মান্ডি হয়েছে।’
- ‘কেউ কেউ ইধার উধার করছে। আমি ওদের বিরুদ্ধে লড়ব না। ওদের বিরুদ্ধে লড়বে ছাত্র-যুবরা। লড়বে সুপ্রকাশ গিরিরা। আগে এদের বিরুদ্ধে লড়াই কর। তারপর বাংলাকে হারাবে।’
- ‘নন্দীগ্রাম আমার সবথেকে লাকি জায়গা। নন্দীগ্রাম থেকে ২০২১ থেকে তৃণমূল জিতবে। নন্দীগ্রাম থেকেই শুরু হল তৃণমূলর জেতার পালা। কারও নাম এখনই বলছি না। পরে বলব। ভাল মানুষ দেব, যিনি সত্যিকারের আপনাদের পাশে থেকে কাজ করবেন। আমিই যদি নন্দীগ্রামে দাঁড়াই কেমন হয়। ভাবছিলাম। কথার কথা। একটু বললাম। একটু ইচ্ছে হল। একটু আমার মনের জায়গায়। সুব্রত বক্সিকে আমার নাম মনে রাখতে বলব’।
- ‘নন্দীগ্রামে তৃণমূলের নতুন জন্ম হল। বেশি সময় দিতে পারব না। কারণ, ২৯৪ আসনেই আমাকে লড়তে হবে। তবে কাজ করে দেব। ভবানীপুরকেও অবহেলা করব না। ওটাও আমার ভালবাসার জায়গা। ওখানেও ভালো প্রার্থী দেব। পারলে দুটি কেন্দ্র থেকেই দাঁড়াব’।
- ‘আমি নন্দীগ্রামকে ভালো বাসি। সব সময় মনে রাখবো। সিঙ্গুর-নন্দীগ্রামকে কেউ ভুলতে পারি না। আমি বার বার আসব। নন্দীগ্রাম আনার জন্য লাকি জায়গা। ২০১৬ সালে আমি নন্দীগ্রাম থেকেই প্রচার শুরিু করেছিলাম। ২০২১ সালেও এখান থেকেই প্রচার শুরু করলাম। সব আসনে তৃণমূল প্রার্থীরা জিতবেন।’