রাজ্য বিভাগে ফিরে যান

বাংলায় ভ্যাকসিন আরও নিলেন ৫৮ শতাংশ স্বাস্থ্যকর্মী

January 19, 2021 | 2 min read

সম্ভাব্য প্রাপকদের অর্ধেকের কিছু বেশি সংখ্যক স্বাস্থ্যকর্মী-চিকিৎসক(HealthWorkers Doctors) সোমবার ভ্যাকসিন(Vaccine) নিলেন। ১৬ জানুয়ারি যেখানে প্রায় ৭৬ শতাংশ স্বাস্থ্যকর্মী-চিকিৎসক কোভিশিল্ড(CoviShield) নিয়েছিলেন, সেখানে দ্বিতীয় দফায় ভ্যাকসিন নিলেন মাত্র ৫৮ শতাংশ। শনিবার টিকা নেন ১৫ হাজার ৭০৭ জন। সেখানে সোমবার কোভিশিল্ড নিয়েছেন ১৩ হাজার ৭৪৯। প্রথম দফায় যেখানে ১০০ জন করে টিকা নিয়েছেন, সেখানে এদিন কেন্দ্রপিছু ১২০-১২৫ জন করে টিকাকরণের প্রচেষ্টা ছিল বিভিন্ন কেন্দ্রে। তাতে অবশ্য টিকাকরণ বাড়েনি। উল্টে ১৮ শতাংশ কমেছে। কেন কমল, তা অনুসন্ধান করছে স্বাস্থ্যভবন(Swasthya Bhawan)। শীর্ষ স্বাস্থ্যকর্তাদের একাংশ এজন্য কোউইন অ্যাপ ও ওয়েবসাইটের বিপর্যয়কে দায়ী করেছেন। তাঁদের বক্তব্য, সোমবার যাঁদের টিকা পাওয়ার কথা ছিল, অ্যাপ ও ওয়েবসাইট ঠিকমতো চালু থাকলে, তাঁদের রবিবার দুপুরের মধ্যে এসএমএস পেয়ে যাওয়ার কথা ছিল। বেশিরভাগই বিকেল পর্যন্ত এসএমএস পাননি। সন্ধ্যার পর এসএমএস ঢুকতে আরম্ভ করে। রাত ১২টার আশপাশেও অনেকে এসএমএস পেয়েছেন। 
এদিকে দ্বিতীয় দফাতেও করোনা ভ্যাকসিন নেওয়ার পর ১৪ জনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ঘটনা ঘটেছে। তার মধ্যে ১২টি ঘটনা গুরুতর না হলেও দু’টি ক্ষেত্রে ভ্যাকসিন প্রাপকদের হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছে। একটি ঘটেছে ডায়মন্ডহারবারে(Diamond Harbour)। অন্য‌঩টি আলিপুরদুয়ারের ফালাকাটায়(Falakata)। ডায়মন্ডহারবার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভ্যাকসিন নেওয়ার পর এদিন ৩৪ বছর বয়সি এক তরুণী অসুস্থ হয়ে পড়েন। তীব্র কাঁপুনি ও বমিভাব থাকায় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। দ্বিতীয় ঘটনাটি ঘটেছে ফালাকাটা সুপারস্পেশালিটি হাসপাতালে। ভ্যাকসিন নেওয়ার পর ৪৬ বছরের এক মহিলার প্রচণ্ড বমিভাব ও শ্বাসকষ্টের সমস্যা শুরু হয়। তাঁকে ভর্তি করা হয়েছে। এদিকে প্রথম দিন টিকা নেওয়ার পর অসুস্থ নার্সের শারীরিক অবস্থা আগের তুলনায় ভালো। কিছু জরুরি পরীক্ষা নিরাক্ষার জন্য আরও কিছুদিন তাঁকে হাসপাতালে রাখা হতে পারে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিকর্তা অজয় চক্রবর্তী।  
তুলনামূলকভাবে শনিবারের তুলনায় সোমবার কোউইন বিপর্যয় কিছুটা কম ছিল বাংলায়। ২০৭টি ভ্যাকসিন প্রদান কেন্দ্রের মধ্যে ১৯৮টি কেন্দ্রেই অনলাইনে নথিভুক্তিকরণের কাজ হয়েছে। যদিও মহারাষ্ট্র, কর্ণাটক, পঞ্জাব সহ বহু রাজ্যেই এই সমস্যার জন্য টিকাকরণের কাজে ব্যাহত হয়েছে। প্রথম দিনের টিকাকরণের সময় কোউইন-এ ব্যাপক সমস্যা হচ্ছে দেখে মহারাষ্ট্র সরকার সিদ্ধান্ত নেয়, যতদিন না সার্ভার বিপর্যয় মিটছে, টিকাকরণ বন্ধ থাকবে। রবিবার সমস্যা কিছুটা মেটায় মহারাষ্ট্র সরকার জানায়, আজ মঙ্গলবার তাদের দ্বিতীয় দফার টিকাকরণ হবে। পঞ্জাবের ৫৯টি টিকাকরণ কেন্দ্রের ১০০ জন করে সম্ভাব্য টিকাপ্রাপকদের প্রত্যেককে ফোন করে এদিন কেন্দ্র আসতে বলা হয়। বাংলায় যোগাযোগের ত্রুটি দূর হতেই ভ্যাকসিন গ্রহণের হার বাড়তে শুরু করে। হুগলিতে সোমবার ৯৭ শতাংশ স্বাস্থ্যকর্মী ভ্যাকসিন নিয়েছেন। ১৪২৫ জনকে ভ্যাকসিন দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। ১৩৮৬ জনকে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়। উত্তর ২৪ পরগনায় ৭৩ শতাংশ স্বাস্থ্যকর্মী ভ্যাকসিন নিয়েছেন। ১২০০ জনের পাওয়ার কথা ছিল। টিকা নেন ৮৮৪ জন। বাংলায় করোনা টিকাকরণের নোডাল অফিসার অসীম দাস মালাকার বলেন, আমাদের ধারণা, অ্যাপ ঠিক থাকলে রাজ্যে আরও বেশি সংখ্যক মানুষ আসতেন।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#vaccine, #West Bengal, #corona vaccine, #health workers

আরো দেখুন