দেড় বছর কৃষি আইন কার্যকর নয়, পিছু হটে প্রস্তাব দিল কেন্দ্র
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ ছিল, পরবর্তী কোনও নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত কেন্দ্রের তিনটি কৃষি আইন (Farm Laws) কার্যকর হবে না। কিন্তু কৃষক আন্দোলনে চাপে পড়ে আরও অনেকটাই পিছু হটল মোদি সরকার। কৃষকদের দাবি মতো আইন বাতিলে সম্মত না হলেও তা কার্যকর করার উপর স্থগিতাদেশের সময়সীমা আরও বাড়ানোর প্রস্তাব দিল কেন্দ্র। বুধবার কৃষকদের সঙ্গে দশম দফার বৈঠকে কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমার (Narendra Singh Tomar) বলেন, সমাধান যখন হচ্ছেই না, তখন আপনারা চাইলে আগামী এক থেকে দেড় বছর নতুন কৃষি আইন কার্যকর করা হবে না। এই ব্যাপারে সুপ্রিম কোর্টে আমরা লিখিত বক্তব্যও জানাব।
যদিও সরকারের ওই প্রস্তাব নিয়ে কোনও মত পোষণ করেননি কৃষকরা। আজ বৃহস্পতিবার নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে তবেই সরকারকে তাঁদের মত জানাবেন বলেই জানিয়ে দিয়েছেন। প্রাথমিকভাবে বৈঠকে কৃষকরা বলেছেন, আইন বাতিল করতেই হবে। তাই স্থগিতাদেশের সময়সীমা বাড়ানোর প্রস্তাবের কোনও অর্থ হয় না। কেবল কৃষি আইনই নয়, ন্যূনতম সহায়ক মূল্য নিয়েও প্রয়োজনে বিশেষ কমিটি গড়ার প্রস্তাব দেন নরেন্দ্র সিং তোমার। আগামীকাল শুক্রবার ২২ জানুয়ারি ফের বৈঠকটি হবে।
অন্যদিকে, সাধারণতন্ত্র দিবসে কৃষকদের প্রস্তাবিত ট্রাক্টর মিছিল ইস্যুতে বুধবারও কোনও নির্দেশ দিল না সুপ্রিম কোর্ট। দেশের প্রধান বিচারপতি এস এ বোবদে স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, দিল্লির রাস্তায় মিছিল হবে কি না, সেই বিষয়টি দিল্লি পুলিসই ঠিক করুক। আমরা কোনও নির্দেশ দেব না। চাইলে দিল্লি পুলিস সুপ্রিম কোর্ট থেকে আবেদন প্রত্যাহার করে নিতে পারে। উল্লেখ্য, কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে আন্দোলনের তীব্রতা বাড়াতে ২৬ জানুয়ারি দিল্লির রাস্তায় ট্রাক্টর মিছিল করবে বলেই হুমকি দিয়েছেন কৃষকরা (Farmers)।
কিন্তু ওইদিন এ ধরনের মিছিল হলে তাতে দেশের ভাবমূর্তিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বলেই কেন্দ্রের মত। সেই মতো মিছিল বাতিলের দাবিতে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছে কেন্দ্রীয় সরকারের নিয়ন্ত্রনাধীন দিল্লি পুলিস। কিন্তু আগের দিনের শুনানির মতোই বুধবারও এই ইস্যুতে প্রধান বিচারপতি একই অবস্থান নেওয়ায় কার্যত ফাঁপড়ে পড়ে গিয়েছে মোদি সরকার। কৃষকরা জানিয়েছে, তাঁরা দিল্লির আউটার রিংরোডে মিছিল করবে। অন্যদিকে, দিল্লি পুলিস অনুরোধ করেছে আরও একটু দূরে সরে গিয়ে ট্রাক্টর মিছিল করুন। কিন্তু রাজি নয় কৃষকরা। তাই চাপে পড়ে গিয়েছে কেন্দ্র।