বিশেষ একটি দলের হয়ে কাজ করার অভিযোগ বিএসএফের বিরুদ্ধে
নির্বাচন কমিশনের(Election Commission) ফুল বেঞ্চের আজ দ্বিতীয় দিনের বৈঠক। দুই দফায় বৈঠক হওয়ার কথা। প্রথম দফায় রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠক হবে। এরপর জেলাশাসক, পুলিশ সুপার এবং পুলিশ কমিশনারদের সাথে বৈঠক করবে নির্বাচন কমিশন। এদিন কমিশনের কাছে বিএসএফ-এর (BSF) বিরুদ্ধে অভিযোগ করে শাসকদল তৃণমূল(TMC)।
বৈঠক করেন পার্থ-দিলীপরা
সূত্রের খবর, তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে করেন ফিরহাদ হাকিম(Firhad Hakim), সুব্রত বক্সি(Subrata Bakshi), সুব্রত মুখোপাধ্যায়(Subrata Mukherjee) এবং পার্থ চট্টোপাধ্যায়(Partha Chatterjee)। বামেদের তরফে থাকবেন রবীন দেব(Robin Deb) এবং সুখেন্দু পানিগ্রাহী(Sukhendu Panigrahi)। বিজেপির (BJP)তরফে ছিলেন দিলীপ ঘোষ(Dilip Ghosh), শিশির বাজোরিয়া(Sisir Bajoria), সব্যসাচী দত্ত (Sabyasachi Dutta)এবং স্বপন দাশগুপ্তর(Swapan Dasgupta)। কংগ্রেসের তরফে থাকার কথা রয়েছে সাম্য আইচের(Santa Soch)।
সীমান্তবর্তী গ্রামগুলিতে বিএসএফ ভোটারদের ভয় দেখাচ্ছে
এদিন কমিশনের সঙ্গে কথা বলে এসে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের উপর আমাদের সম্পূর্ণ আস্থা আছে। আমাদের দৃষ্টিতে কিছু জিনিস এসেছে। আমারা এর সমাধান চাই। আমরা জেনেছি, সীমান্তবর্তী গ্রামগুলিতে বিএসএফ গিয়ে বিশেষ রাজনৈতিক দলকে সাহায্য করতে ভয় দেখাচ্ছে। ওরা বলছে তোমরা যদি ভোট না দাও, তাহলে কেউ তোমাদের ক্ষমতা থাকতে দেবে না। আমরাই সীমান্তে থাকব।’ পাশাপাশি ইভিএম নিয়ে সন্তুষ্ট নয় তৃণমূল। এই লক্ষ্যে মক পোল করার দাবি জানিয়েছে তৃণমূল।
রোহিঙ্গা ইস্যুতে পাল্টা তোর দিলীপ ঘোষের
এদিকে এদিন এর পাল্টা রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে সরব হন দিলীপ ঘোষ। এদিন দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘এবার ভোটার তালিকায় অনুপ্রবেশকারী সহ ৪-৫ লক্ষ রোহিঙ্গার নাম উঠেছে। আমরা এই বিষয়ে কমিশনের সঙ্গে কথা বলব।’ এছাড়া বিএসএফ ইস্যুতে দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘সীমান্তে বিএসএফ কীভাবে কাজ করে তা আমারা। বিজেপি চায় যে বিএসএফ যেভাবে কাজ করে, সেভাবেই ভালো ভাবে তাদের কাজটা করুক। ওদের এক্তিয়ারে থাকা এলাকায় যেন কেউ কোনও ভুল কাজ না করতে পারে।’
বুথের ভেতরে কেন্দ্রীয় বাহিনী রাখার দাবি
এদিন দিলীপ ঘোষ আরও বলেন, ‘ভোটের বুথের ভেতরে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকুক, বুথের বাইরে রাজ্য পুলিশ থাকুক। অবিলম্বে রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হোক। এলাকায় এলাকায় এখনই রুটমার্চ শুরু করা হোক। ভোটারদের এবং ভোটকর্মীদের সুরক্ষা সুনির্দিষ্ট করতে হবে।’ এদিকে দিলীপ ঘোষের এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে কুণাল ঘোষ বলেন, দিলীপবাবু অবসাদগ্রস্থ হয়ে গিয়েছেন।