রাজ্য বিভাগে ফিরে যান

বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে ‘ঘর ওয়াপসি’ শতাধিক কর্মীদের

January 22, 2021 | 2 min read

 বিজেপি হল ওয়াশিং মেশিন। তৃণমূলে থাকলে সবাই কালো। আর বিজেপিতে গেলে সকলেই ভালো। বক্তা আর কেউ নয়, স্বয়ং তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। বিজেপির দল ভাঙানোর খেলায় ক্ষুব্ধ হয়েই সম্প্রতি এমনই মন্তব্য করেছিলেন তিনি। যদিও বারবার তিনি দাবি করে এসেছেন, ‘যাঁরা যাচ্ছে যাক, আমার দলে কর্মীরাই সম্পদ’। আর দলনেত্রীর সেই দাবিকে কিছুটা অক্সিজেন দিতে পারে নদীয়ার ঘটনা। তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার ৬ দিনের মধ্যেই ফের পুরনো দলে ফিরে এলেন প্রায় শতাধিক কর্মী-সমর্থক।

রাজ্য রাজনীতির বর্তমান স্রোতের কিছুটা বিপরীত চিত্রের এবার দেখা মিলল নদিয়ার চাকদার বনমালীপাড়ায়। মাত্র ৬ দিন আগে, গত ১৬ জানুয়ারি রানাঘাটের সাংসদ জগন্নাথ সরকারের উপস্থিতিতে তৃণমূল (Trinamool) ছেড়ে বিজেপিতে নাম লিখিয়েছিলেন প্রায় ৩০০ জন কর্মী, সমর্থক। কিন্তু সেই দলবদল স্থায়ী হল না একেবারেই। বৃহস্পতিবারই ওই দলবদলকারীদের একটা বড় অংশই ফিরে এলেন তৃণমূলে। রাজ্যের শাসক দলের দাবি, বিজেপি নেতারা ভুল বুঝিয়ে ওই কর্মীদের নিজেদের দলে টেনেছিলেন। তবে, দলে ফিরে আসা ওই কর্মীরা অবশ্য দলীয় নেতৃত্বের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিকেই কারণ হিসেবে দাবি করেছেন। যদিও গেরুয়া শিবিরের পালটা দাবি, দল বদল করার পরই ভয় দেখিয়ে ওই কর্মী, সমর্থকদের ফের ঘাসফুল শিবিরে ফিরিয়েছে তৃণমূল।

যদিও স্থানীয় স্তরে এখনও তৃণমূলের ঘর ভাঙছে বিজেপি (BJP)। সম্প্রতি শিলিগুড়ির গ্রামাঞ্চলেও তৃণমূলে ভাঙন ধরিয়েছে বিজেপি। শিলিগুড়ির বাঘাযতীন পার্কে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের উপস্থিতিতে দলত্যাগ করেন ফাঁসিদেওয়া বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল নেতা কারলুস লাকড়া এবং মাটিগাড়ার তৃণমূল নেত্রী প্রিয়াঙ্কা বিশ্বাস। ২০১৬ সালে কারলুস ফাঁসিদেওয়া কেন্দ্রে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী ছিলেন। প্রিয়াঙ্কা বিশ্বাস মাটিগাড়া ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধান। এ ছাড়াও শিলিগুড়ি মহকুমার গ্রামাঞ্চলের আরও প্রায় শতাধিক বাম, কংগ্রেসও তৃণমূল নেতা-কর্মী বিজেপিতে যোগ দেন।

যদিও নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চের সামনে দিলীপ ঘোষেরা (Dilip Ghosh) রাজ্যের শাসকদলের বিরুদ্ধে নালিশ করেছেন। কিন্তু বৃহস্পতিবারই তাঁদের দলের দুই গোষ্ঠী ধুন্ধুমার ঘটিয়ে দিল বর্ধমান এবং আসানসোল শহরে। গেরুয়া শিবিরের আদি-নব্য দ্বন্দ্ব বৃহস্পতিবার রীতিমতো বড়সড় আকার নিল এই দুই শহরে। আসানসোলে বাবুল সুপ্রিয়, অরবিন্দ মেননদের সামনেই গোলমালে জড়িয়ে পড়ে দু’পক্ষ। বিজেপি নেতৃত্বের একাংশ গোষ্ঠীকোন্দলের কথা স্বীকার করলেও তাঁরা জুড়ে দিচ্ছেন, তৃণমূল বাইরে থেকে লোক এনে গোলমাল পাকিয়েছে। সে দাবি অবশ্য খারিজ করেছে তৃণমূল।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#bjp, #Nadia, #Trinamool Congress

আরো দেখুন