দেশে ৬ দিনে টিকা পেলেন ১০ লক্ষ স্বাস্থ্যকর্মী
ছ’দিনে সাড়ে ১০ লক্ষ চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মীকে করোনার টিকা(Covid Vaccine) দেওয়া হল। সারা বিশ্বে এত অল্প সময়ে এত বিপুল সংখ্যক স্বাস্থ্যকর্মীর (Health Workers) টিকাকরণে ভারত এগিয়ে আছে বহু দেশের থেকেই। শুক্রবার এমনই জানাল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। তারা জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টাতেই ৪০৪৯টি কেন্দ্রে ২ লক্ষ ৩৭ হাজার ৫০ জন চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মীর টিকাকরণ হয়েছে। তারা জানিয়েছে, দেশজুড়ে করোনা পরীক্ষার সংখ্যাও ১৯ কোটি ছাড়িয়েছে। পজিটিভিটির হার কমে ৫.৫৯ শতাংশ।
এদিকে টিকা নিয়ে একাংশের মনের ভয় ভীতি দূর করতে এবার আসরে নামলেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এদিন ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে নিজের লোকসভা কেন্দ্র বারাণসীর মেট্রন, ডাক্তার, নার্স ও ল্যাবরেটরি টেকনোলজিস্টদের সঙ্গে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। টিকাকরণ নিয়ে তাঁরা তাঁদের অভিজ্ঞতার কথা জানান। প্রধানমন্ত্রী বলেন, যখন ডাক্তার-স্বাস্থ্যকর্মীরাই করোনার টিকাকে নিরাপদ বলছেন, তখন এই টিকার কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠা উচিত নয়।
এদিকে রাজ্য স্বাস্থ্যদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন রাজ্যজুড়ে ৩৫১টি কেন্দ্রে টিকাকরণ চলে। ৩০ হাজার ৫১৭ জন স্বাস্থ্যকর্মী-চিকিৎসক টিকা পান। কোউইন অ্যাপে তেমন গুরুতর সমস্যাও হয়নি। গত কয়েকদিনের মধ্যে এদিন সবচেয়ে বেশি ৮৭ শতাংশ স্বাস্থ্যকর্মীই টিকা নিয়েছেন। এদিন রাজপুর-সোনারপুর পুরসভায় টিকাকরণের জন্য ৮৭ জনের নাম ঠিক করা হয়েছিল। সকলেই ভ্যাকসিন নিয়ে সুস্থ রয়েছেন। সবমিলিয়ে গত ছ’দিনে রাজ্যে ৮৪ হাজার ৫০৫ জন টিকা পেয়েছেন। ১১টি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ঘটনা ঘটেছে। তবে কোনওটিই তেমন গুরুতর নয় বলে জানিয়েছেন রাজ্যে টিকাকরণের নোডাল অফিসার অসীম দাস মালাকার। প্রসঙ্গত, প্রথম দিনের টিকাকরণে অসুস্থ পিঙ্কি শূরকে বৃহস্পতিবার হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এদিকে যাঁরা ভয়, পূর্ব ব্যস্ততা, সফটওয়্যারের গোলমাল সহ নানা কারণে নিজেদের জন্য নির্ধারিত দিনে ভ্যাকসিন নেননি, তাঁরা দ্বিতীয়বার সুযোগ পাবেন বলে জানিয়েছেন ডাঃ দাস মালাকার। আজ শনিবার যাঁদের টিকা নেওয়ার কথা, এমন বেশ কিছু স্বাস্থ্যকর্মীর মোবাইলে এদিন টিকাকরণ বাতিল হওয়ার এসএমএস এসেছে। স্বাস্থ্যদপ্তর জানিয়েছে, এটা কোউইন অ্যাপের প্রযুক্তিগত ত্রুটির জন্য হয়েছে।
সূত্রের খবর, এদিন দুপুর ২টো ৫১ মিনিটে এয়ার এশিয়ার বিমানে শহরে আসে কোভ্যাকসিন(Covaccine)। এরপর দু’টি ভ্যাকসিন ভর্তি ট্রাকের একটি চলে যায় বাগবাজারে স্বাস্থ্যদপ্তরের পরিবার কল্যাণ স্টোর্সে(Kalyan Stores)। অন্যটি কেন্দ্রীয় সরকারের হেস্টিংসের স্টোর্সে। সূত্রের খবর, হায়দরাবাদ থেকে এদিন যে ভ্যাকসিন আসে, তার মধ্যে ১ লক্ষ ১২ হাজার ৯৬০ ডোজ বরাদ্দ হয়েছে রাজ্যের জন্য। ১১টি প্যাকেটে ছিল সেই ভ্যাকসিন। অন্যদিকে, কেন্দ্রীয় স্টোর্সে এসেছে ৫৫ হাজার ৩৬০টি ভ্যাকসিন ডোজ(Vaccine Dose)।