পাহাড়ের কোলে রোম্যান্টিক হানিমুন- রইল তালিকা
বিয়ের অনুষ্ঠান, কেনাকাটা এসব বাদ দিয়েও নবদম্পতিকে আরও একটি গুরুদায়িত্ব পালন করতে হয়। তা হল কোথায় হবে তাঁদের হানিমুন ডেস্টিনেশন। সব মেয়েই যেমন চান তাঁর বিয়ে হোক ঠিক রূপকথার মতো তেমনই পছন্দের জায়গাতে বিয়ের পর প্রথম মনের মানুষটিকে নিয়ে ঘুরতে যাবেন এরকম মনোবাসনাও থাকে। পাহাড় কিংবা সমুদ্র, দেশের মধ্যে কিংবা বাইরে হানিমুনে কোথায় যাওয়া হবে এই নিয়ে অনেকসময়ই ধুন্ধুমার বেঁধে যায় দুজনের মধ্যে।
তাই সমস্যা সমাধানে মুশকিল আসান হিসেবে রইল রোম্যান্টিক কিছু পাহাড়ি শহরের হদিশ।
শিলং
উত্তর পূর্বের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য বড়ই মনোরম। কটা দিন একান্তে কাটাতে বেছে নিতে পারেন এই পার্বত্য শহরকে। সেই সঙ্গে চেরাপুঞ্জি মঙলাং (Mawlynnong) ,দ্বাকি লেক ইত্যাদিও ঘুরে নিতে পারেন। উপভোগ করুন এখানকার বিশেষ খাবার, সংস্কৃতি। শিলং আসার সবচেয়ে ভালো সময় হল জুন থেকে সেপ্টেম্বর।
দার্জিলিং
বছরের যে কোনও সময় যাওয়া যায় দার্জিলিং। আসলে এই নামটার সঙ্গেই জড়িয়ে থাকে অনেক নস্ট্যালজিয়া। প্রথম কাঞ্চনজঙ্ঘা থেকে টয়ট্রেন সবেরই দেখা মেলে এই দার্জিলিংয়ে। পাহাড়ের কোলে হারিয়ে যাওয়ার একদম আদর্শ ঠিকানা হল দার্জিলিং। গরম মোমো, স্যুপ, ন্যুডলস, ইংলিশ ব্রেকফাস্ট, কুয়াশায় হারিয়ে যাওয়া সব কিছুর প্রথম সাক্ষী দার্জিলিং। দার্জিলিংকে কেন্দ্র করে যেতে পারেন কালিম্পং আর কার্সিয়াং এর পাহাড়ি গ্রামগুলোতেও।
মুসৌরি
কথায় বলে মুসৌরি হল পাহাড়ের রাজা। এখানে একরাত কাটালে বারবার ঘুরে আসতে ইচ্ছে করে। উত্তরখন্ডের এই পাহাড়ি শহর ভ্রমণপিপাসুদের কাছে খুবই জনপ্রিয়। তেমনই হানিমুন ডেস্টিনেশন হিসেবেও জনপ্রিয় মুসৌরি। এছাড়াও মুসৌরিতে বেশ কিছু ভালো ক্যাফে আছে। সেই ক্যাফের খাবার খেতে খেতে কিংবা এককাপ কফি নিয়ে হারিয়ে যান কুয়াশার মধ্যে। কুরলি বাজার, লাইব্রেরি পয়েন্ট, ঝারিপানি ফলস ঘুরে দেখুন সবকিছুই।
খান্ডালা
মহারাষ্ট্রের এই পাহাড়ি শহরে প্রচুর বলিউডি সিনেমার শ্যুটিং হয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম হল খান্ডালা। ১৯৯ সালে এখানে সারফারোসের শ্যুটিং হয়েছিল। মনসুন ভ্রমণের জন্য আদর্শ খান্ডালা। এই সময় চারিদিক যেমন সবুজ থাকে তেমনই থেকে থেকে বৃষ্টি নামে। মুম্বই আর পুনে থেকে খুবই কাছে। এছাড়াও এখানে আসলে অবশ্যই ঘুরে যান রাজমাচি ফোর্ট, ভিসাপুর ফোর্ট, লোনাভালা লেক-সহ আরও একাধিক স্পট।
মাউন্ট আবু
আরাবল্লি পর্বতের দক্ষিণ-পশ্চিমে রাজস্থানে অবস্থিত মাউন্ট আবু। পাহাড়ের সঙ্গে দারুণ ওয়াইল্ডলাইফও দেখা যায় এখানে আসলে। হানিমুনার্সদের কাছে খুব জনপ্রিয় ডেস্টিনেশন হল এই মাউন্ট আবু। সেই সঙ্গে লাক্সারি হোটেলের অভিজ্ঞতাও হবে এখানে এলে। এছাড়াও রাজস্থান জুড়ে ছড়িয়ে রয়েছে অনেক ইতিহাস। সেসবেরও ছোঁয়া পাওয়া যাবে যদি ডেস্টিনেশন হয় মাউন্ট আবু।
মুন্নার
চা বাগান আর পাহাড় মাঝে মধ্যেই ঢেকে যাচ্ছে মেঘে, পাহাড়ের গায়ে ছোট ছোট বাড়িতে রাত নামতেই জ্বলে উঠছে আলো…আর তাই আঁকা বাঁকা পথ ধরে চলতে চলতে মুন্নারের পথে রূপকথা বুনতে ভালোবাসেন কপোত কপোতীরা। মুন্নারের সৌন্দর্য যেন ঠিক পোস্টকার্ড। রয়েছে ব্রিটিশ আমলের বেশ কিছু বাড়ি। রয়েছে বেশ কিছু সুন্দর সুন্দর ফুল। সব মিলিয়ে প্রাকৃতিক সৈন্দর্যে অপরূপা কেরল। সঙ্গীর সঙ্গে সুন্দর মুহূর্ত তৈরি করতে আপনি হানিমুনের ডেস্টিনেশন হিসেবে বেছে নিতে পারেন মুন্নার।